যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই- ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আব্দুল্লাহর আজ প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়াজ মাখদুম শহীদ আব্দুল্লাহর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার, তার মামা ইসরাইল সর্দার, বেনাপোল পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার তাতী বাজারের রাজপথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে দীর্ঘ ৩ মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেষ গত বছরের ১৪ নভেম্বর ঢাকা সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আব্দুল্লাহ। শৈশব থেকেই চরম দারিদ্র্য এবং নানা প্রতিকূলতার মাঝেও অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে তিনি লেখাপড়ার জন্য ঢাকা যান। ভর্তি হন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে। নিজের পড়াশোনা, ভাড়া এবং খাবারের খরচ চালাতে তিনি টিউশনি করেছেন। তার জীবন ছিল এক সাহসী সংগ্রামের নাম।
শহীদ আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আজ আমার সম্মান, টাকা-পয়সা সবই আছে, শুধু আমার সন্তান কাছে নেই। আশা ছিল ছেলে লেখাপড়া শিখে বৃদ্ধ বয়সে আমাদের দেখাশোনা করবে। নিয়তির খেলা, সেই আশা পূরণ হলো না। দেশবাসীর কাছে আমার পরিবার ও তার সহযোদ্ধাদের জন্য দোয়া এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম বলেন, ‘শহীদ আব্দুল্লাহ এখন আর আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার সাহস, সততা এবং স্বপ্ন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বাংলার রাজপথে, তরুণদের হৃদয়ে। পরকালে সে যেন ভালো থাকে তার জন্য দোয়া রইল। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা সবসময় শহীদ পরিবারের পাশে আছি।’



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন