নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার অনুশীলন মাঠে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ।
লাল-সবুজদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন পূজা রানী। অপর তিনটি গোল করেছেন কানন রানী বাহাদুর, তৃষ্ণা রানী ও আফঈদা।
সোমবার শেষ ম্যাচে খেলবে নেপালের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে বাংলাদেশকে কমপক্ষে এক পয়েন্ট পেতে হবে ওই ম্যাচে। বাংলাদেশ হেরে গেলে চ্যাম্পিয়ন হবে নেপাল। ৫ ম্যাচে নেপালের সংগ্রহ ১২। ওই ম্যাচে নেপাল জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে বাংলাদেশের সমান ১৫। তখন গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হবে দলটি।
লঙ্কান মেয়েদের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা অগোছালো ছিল বাংলাদেশের। আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সুবিধা করতে পারছিলনা বাংলাদেশের মেয়েরা, উল্টো ৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে যায় লঙ্কান মেয়েরা। ফরোয়ার্ড লায়ানশিকা জেসোথেরানের দারুণ একটু শট রুখে দেন লাল-সবুজের গোলরক্ষক ফেরদৌসী আক্তার সোনালী।
এর মিনিট দুয়েক পর আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। পর পর দুবার লঙ্কান মেয়েদের বক্সের ভেতর ঢুকে গোলের চেষ্টা করেও সফলতা আসেনি তাদের। ১৪ মিনিটে রাইট উইং থেকে বল নিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন কানন। জটলার মধ্যে বল পেয়ে যান রুমা আক্তার। তবে লঙ্কান গোলরক্ষক থারুশিকা ডি ডোডামগোডেজের সেভে রক্ষা পায় সফরকারীদের জাল।
২৪ মিনিটে কানন রানী বাহাদুরের গোলে ডেডলক ভাঙে বাংলাদেশ। ১-০তে এগিয়ে যাওয়ার পরের মুহূর্তে পরপর দুবার আক্রমণে যায় তারা, কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে সফলতা আসেনি লাল-সবুজের। আগের ম্যাচের চেয়ে কিছুটা উন্নতি করা লঙ্কান মেয়েরা আক্রমণে যায় ২৯ মিনিটে। লঙ্কান ফরোয়ার্ড ইন্দ্রন গ্রেগরি দারুন ভাবে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের বক্সে।
শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তিনি। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে তৃষ্ণার দারুণ একটি শট বাড়ে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি শট নেন পূজা রানী। দারুণ গোলে ২-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর লঙ্কান শিবিরে আরও তিন গোল করে বাংলাদেশ। ৭৩ মিনিটে বা পায়ের শটে দুর্দান্ত এক গোল করেন পূজা দাস। ৮৬ মিনিটে তৃষ্ণা বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন। এক ডিফেন্ডারকে কাটান। গোলরক্ষক থারুশিকা এগিয়ে এসেও সে যাত্রায় গোল বাঁচাতে পারেননি। ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি গোল করলে ৫-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিটার বাটলারের দল।