গেল কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সকালের কুয়াশা। শিশিরে ভেজা ঘাস জানিয়ে দিচ্ছে-নওগাঁয় শীত এসে গেছে দুয়ারে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া ও পর্যবেক্ষণ অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগের দিনের তুলনায় ৪ ডিগ্রি কম।
বদলগাছী কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, “আজ সকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা পেলে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করলেও সামগ্রিকভাবে শীতের প্রভাব বাড়বে।”
শীতের আগমনী ছোঁয়ায় ইতোমধ্যেই বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। সকালে কাজে বের হতে হচ্ছে শীতবস্ত্র পরে।
অনেকেই বলছেন, এবছর জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার শীতের তীব্রতা আগের চেয়ে বেশি হতে পারে।
দিনমজুর মিলন জানান, “খুব সকালে ঠান্ডার মধ্যে কাজে যেতে কষ্ট হয়। এই সময় ঠান্ডাজনিত অসুখও বেশি হয়। কিন্তু সংসার চালাতে তো থেমে থাকা যায় না, তাই ভোরেই বের হতে হয়।”
রিকশাচালক বিমান বলেন, “ভোর থেকে যাত্রী নিয়ে বের হই। ঢাকার যাত্রীরা বলে-নওগাঁয় যে ঠান্ডা, তা ঢাকায় নেই। কুয়াশা খুব বেশি না হলেও বাতাসে শীতের ছোঁয়া বেশ তীব্র।”
উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয় প্রতি বছরই মৌসুম শুরুর আগেই শীতের আমেজ দেখা যায়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার শীত পড়বে কিছুটা বেশি।


