প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক আলোচিত কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি। শনিবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে জোহরের নামাজের পর মতির সাবেক কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনের একটি মাদরাসায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতির স্ত্রী রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন।
স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিয়ে অঝোরে কেঁদে ভেঙে পড়েন মতি। উপস্থিত মুসুল্লিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘ ১০ মাস ধরে কারাগারে রয়েছি। এর ভেতর গতকাল আমার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছে। তার সঙ্গে আমার ৩২ বছরের সংসার জীবন। সে সব সময় আমাকে আগলে রেখেছে। আমার দুর্ভাগ্য, বড় ভাইয়ের মৃত্যুতেও আমি কারাগারে ছিলাম। আজকের মতো তখনও আমি অনুপস্থিত ছিলাম। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। যদি জীবনে সে কারও সঙ্গে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকে, আমি তার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, মতিউর রহমান মতিকে কারা কর্তৃপক্ষ ৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি মুক্ত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ ৪৫টি মামলার আসামি মতিউর রহমান মতি। এ বছরের ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মতি ও তার ছেলে বাবুইকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বাবুই জামিনে মুক্তি পেলেও এখনো কারাভোগ করছেন মতিউর রহমান মতি।

