নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে মিয়ানমারে মাদকের বিনিময়ে সারসহ বাংলাদেশি পণ্য পাচারকালে ৯ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় তিনটি বোট ও প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড স্টেশন হাতিয়ার মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়—একটি চক্র বাংলাদেশি পণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, বিদেশি মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দেশে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১টার দিকে কোস্টগার্ড স্টেশন হাতিয়ার সদস্যরা হাতিয়ার সূর্যমুখী ঘাটসংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে সন্দেহজনক তিনটি ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার ১৯৪ বস্তা রাসায়নিক সারসহ নয়জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। জব্দ করা সারগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
আটককৃতরা হলেন: কক্সবাজারের পিত্তমখালী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আবুল কাশেম (৪৫), সন্দ্বীপ উপজেলার উরিরচরের মুন্সি মাঝির ছেলে সালাউদ্দিন (২৮), চট্টগ্রামের খুলশী থানার দামপাড়া টাইগারপাস এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল (৩৫), নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের শূন্যের চর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে বাহার (৫৭), ঢাকার দোহার উপজেলার মেথুলা বাজার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে আক্তার হোসেন (২৮), লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার আঠিয়াতলি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৭), ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের সালেহ আহাম্মদের ছেলে সাহেল (২৮), পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) রাজাবাড়ি গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে নেছার উদ্দিন (৩৭) ও তার ছেলে সম্রাট মিয়া (১৬)।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘আটককৃত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।’
