ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ধানের শীষে ভোট চেয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন শিক্ষক

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন শিক্ষক। ছবি- সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে গিয়ে ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর গ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন  খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাওয়ার পর ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। বিষয়টি ভিডিওতে ধারণ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ শাসনামলে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম একাধিক আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন এবং দলটির সমর্থক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ফেসবুকে শরীফ ইসলাম নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘স্যার অভ্যাস পরিবর্তন না করেই মঞ্চে উঠেছেন।’

আমজাদ হোসেন নামে আরেকজন লেখেন, ‘হৃদয়ে আওয়ামী লীগ বসত করলে বিএনপির অনুষ্ঠানে গেলে এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক।’

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, মুখ ফসকে জয় বাংলা স্লোগান বেরিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে যাব না।

আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলাম না এবং কোনো দল সমর্থনও করি না। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে গিয়েছিলাম। এটিকে আমি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হিসেবে দেখি না।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) সোলায়মান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে উপজেলা মাধ্যমিক অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজর আরিফুল ইসলাম বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে না গেলেই ভালো। একটি রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে গিয়ে অন্য দলের স্লোগান দেওয়া দৃষ্টিকটু- এ বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে সমালোচনার সৃষ্টি করে। তবে এ ঘটনায় আমাদের কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।