কোটা সংস্কার শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে আন্দোলনকে ঠেকাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে একটি নোটিশও দিয়েছে হল প্রশাসন।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দিপীকা রাণী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যারা হলে থাকতে চায় তারা থাকতে পারবে। আর যারা চায় না তারা চলে যেতে পারবে। হলের গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ স্বাভাবিক থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হল ছাড়ার এ নির্দেশের প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় হল প্রভোস্টকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে ফেলেন শিক্ষার্থীরা।
অবরুদ্ধ করে ছাত্রীরা, ‘প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানি না’, ‘মানবো না, হল কারো বাপের না, ‘হল আমাদের ঠিকানা, হল আমরা ছাড়বো না’সহ আরো নানা শ্লোগান দিতে থাকে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মানি না। এক ধরনের বাধ্য করা হচ্ছে হল ছাড়ার জন্য।
এদিকে, কোটা আন্দোলনকে ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। একই সাথে আজ (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্দেশনা মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা । এক জরুরি সিন্ডিকেড সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সূত্র ধরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ঢাবি প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :