মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মেডিকেল প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

ঢামেক হাসপাতালে শিশু পাচারকালে দুই নারী আটক

মেডিকেল প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শিশু পাচারকালে নাহার (৪৭) ও হাসিনা (৩৮) নামে দুই নারীকে আটক করেছে আনসার সদস‍্যরা। পরে ওই দুই নারীকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঢামেক হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) জানান, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন নারী একটি ছেলে শিশুকে নিয়ে যাওয়ার সময় আনসার সদস্যরা বাধা দেয়। পরে টহল টিম তাদেরকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই নারী জানায়, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় নাহার নামে একটি মেডিকেল সেন্টারের মালিক নাহার ও তার বোন হাসিনা ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটিকে অন্য জায়গায় নিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিল। তারা কমিলা বেগম নামে এক নারীর সাথে ৫০ হাজার টাকা কন্টাক্ট করে সুকৌশলে বাচ্চাটাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে যাওয়ার সময় আনসারের হাতে ধরা পড়ে।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়– বিভিন্ন অসহায় নারীদের এভাবে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাচ্চাকে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তারা দুইজন আরও স্বীকার করে শিশু পাচার ও শিশু ক্রয় বিক্রয়ের সাথে তারা জড়িত।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানায়, তার অপারেশনের জন্য এখানে ২২ হাজার টাকা খরচ করেছে আর বাকি টাকা দিয়ে এই শিশুটিকে তারা অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেবেন। পরবর্তীতে বাচ্চাকে আর দুধ খাওয়াতে দেয় না পাচারকারীরা।

পাচারকারী সদস্য নাহারের ছেলে ফাহিম জানায়, ওই মহিলা অসহায় গরীব। আমরা ওই নারীকে বাসায় রেখে তার দেখাশোনা করাই। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন– তার জরায়ুতে একটি সিস্ট হয়েছিল এবং পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি।

তিনি আরও জানান, আমার মা ও খালা শিশু পাচারকারীর চক্রের সদস্য নয়। ওই মহিলাকে সাহায্য করতে এসেই আমার মা ও খালাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের একটি নাহার মেডিকেল সেন্টার নামে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় হাসপাতাল আছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ তারিখে সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় কমিলা বেগম। আজ ঢামেক হাসপাতাল থেকে তার বাচ্চাটিকে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এই দুই নারী আনসারের হাতে ধরা পড়ে।

Link copied!