রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগের আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েও তারা ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন। এর আগে তারা মিড টার্ম পরীক্ষাও দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভায় আটজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন: মার্কেটিং বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের সাফায়েত হোসেন শুভ, শাহরিয়ার অপু, সজিব, সৌরভ, নাজমুজ সাকিব, রোহান সরকার রোহান, জিহাদ এবং ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বহিষ্কৃত ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা ৬ নভেম্বর থেকে এবং ২০২১-২২ সেশনের আশরাফুল ৯ নভেম্বর থেকে ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন। এর আগে তারা মিড টার্ম পরীক্ষাও দিয়েছে। নিয়মিত করছেন ক্লাসও।
সূত্র জানায়, বহিষ্কারাদেশ জারি হলেও এর চিঠি বিভাগে পাঠানো হয়নি। ফলে বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি পরীক্ষা নেওয়ার আগে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। প্রশাসন বলেছে, যেহেতু চিঠি ইস্যু হয়নি এবং তদন্ত শেষ হয়নি, তাই পরীক্ষা নেওয়া যাবে। পরে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. ইলিয়াছ প্রামানিক বলেন, ‘তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যদি কেউ স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হওয়ার মতো অপরাধে জড়িত থাকে, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন তারা সাময়িক বহিষ্কৃত। তদন্তে কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাকে এক বছর পিছিয়ে দিতে ন্যায়সংগত হবে না, তাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘তারা পরীক্ষা দিচ্ছে কি না আমার জানা নেই। এমন হওয়ার কথা নয়। তদন্ত কমিটি যেহেতু গঠন করা হয়েছে, সম্ভবত সে কারণেই বহিষ্কারাদেশ কার্যকর করা হয়নি।’
চিঠি দেওয়া হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, বিভাগে চিঠি যায়নি। হয়তো তাদের পরীক্ষা চলছিল, তাই আর চিঠি দেওয়া হয়নি। আর তদন্ত কাজও এখনো শেষ হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর পূর্বের জেন-জি ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলাকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং, পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।



