বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম

আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ পেল ‘আইসিটি এন্ড ইয়াং ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা জনপ্রিয়করণ ও আইসিটি দক্ষতা বিকাশে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ পেয়েছে লিডার্স ফোরাম বিডি কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ ‘আইসিটি এন্ড ইয়াং ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’।

রাজধানীর শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এলএফবি লিডার্সশিপ এক্সিলেন্স সামিট ২০২৫-এ এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন খাতের উদ্ভাবনী নেতৃত্ব, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা। আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এই সম্মান আমাকে ও আমাদের আইসিটি অলিস্পিয়াড বাংলাদেশ পরিবারকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আইসিটি শিক্ষার গুরুত্ব আরও দৃঢ়ভাবে ছড়িয়ে দিতে এটি আমাদের নতুন উদ্যম দেবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তির মূলধারায় যুক্ত করতে পারলেই দেশ সত্যিকারের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে পৌঁছাতে পারবে। এই স্বীকৃতি আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিলো—তরুণদের হাতে প্রযুক্তি দক্ষতা পৌঁছে দেওয়ার মিশনকে এগিয়ে নিতে আমরা আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি কৃতজ্ঞতা জানান আইসিটি অলিস্পিয়াড বাংলাদেশের সকল সহযোদ্ধাকে, যাদের নিবেদিত প্রচেষ্টা এই অর্জনকে সম্ভব করেছে। একইসঙ্গে বিশেষ ধন্যবাদ জানান লিডার্স ফোরাম বিডির (এলএফবি) ফাউন্ডার খান্দকার কবিরকে। যিনি তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করছেন। শাহরিয়ার খান তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এলএফবি টিমের আগামীর সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের চিফ টেকনোলজি কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম, চিফ অপারেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান নিপু, চিফ এডুকেটর বি. এ. ওয়াহিদ নিউটন, সাফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রফেসর ড. হিমু চৌধুরী, সাফ ফাইন্যান্সিয়াল কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. রেদোয়ানুর রহমান, অপারেশন ম্যানেজার আব্দুল হাদি, ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার হাসান জয়, গ্লোরি গার্লস ম্যানেজার স্নিগ্ধা দে, কোর্স কো-অর্ডিনেটর ডিয়েল চৌধুরী ইমন, টেক টিম লিড অ্যালেন উপেন্দ সিং, কমিউনিকেশন ম্যানেজার ফারহানা শতান্দী ইরা এবং টেক কর্মকর্তা অবিলাশ সাহা।

২০২১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আইসিটি জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতায় সমৃদ্ধ করে তার স্বপ্নের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।

অলিম্পিয়াডে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, রোবটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই), সাইবার সিকিউরিটি, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যাপ ডিজাইন, ডিজিটাল লিটারেসি, গ্রিন ডিজিটালাইজেশন, ই-কমার্স, টিচ ফ্রিলেনসিং, কোয়ান্টাম কমপিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে। এই কোর্সগুলো শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করতে পারে।

প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বাড়াতে প্রথম শ্রেণি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত অনলাইন ও অফলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি বছর সেরা ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় শিক্ষা বীমা, স্বাস্থ্যবীমা, কম্পিউটার, ট্যাব, স্মার্টফোন ও নগদ পুরস্কার। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নদের জন্য রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ।

দেশের ৬৪টি জেলায় কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ইতিমধ্যে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার আওতায় এনেছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রায় চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দুইহাজারেরও বেশি আইসিটি শিক্ষক এবং ১০০-র অধিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকার—

‘প্রত্যেক শিশুর হাতে প্রযুক্তি শিক্ষা পৌঁছে দিতে পারলেই গড়ে উঠবে এক আলোকিত ও জ্ঞাননির্ভর বাংলাদেশ।’

Link copied!