পুরুষের স্বাস্থ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকেই মনে করেন হারবাল বা অর্গানিক পণ্য গ্রহণ করলে টেস্টোস্টেরন স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে শরীরে অতিরিক্ত তলপেটি চর্বি থাকলে এসব পণ্য খুব একটা কার্যকর হয় না।
তলপেটে অতিরিক্ত চর্বি জমলে সেখানে Aromatase নামক একটি এনজাইম সক্রিয় হয়। এই এনজাইম শরীরের পুরুষালি হরমোন টেস্টোস্টেরনকে ভেঙে Estrogen—অর্থাৎ নারীদের প্রধান হরমোন—এ রূপান্তর করে। ফলে তলপেটে চর্বি যত বেশি টেস্টোস্টেরন তত কমে যায়। একইসঙ্গে Estrogen মাত্রা বাড়তে থাকে।
এ অবস্থাকে সাধারণত পুরুষত্বের দুর্বলতার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই ভুঁড়ি থাকা কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন নয় বরং হরমোনগত দুর্বলতার ইঙ্গিত হতে পারে।
অন্যদিকে, অনেক পুরুষ অতিরিক্ত পাতলা হওয়াকে ফিটনেসের পরিচায়ক মনে করেন। কিন্তু বডি ফ্যাট পার্সেন্টেজ যদি ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে না থাকে, তাহলে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। কারণ স্পার্ম তৈরির মূল উপাদান হলো কোলেস্টেরল। যারা অত্যন্ত কম চর্বিযুক্ত (৮–১০%-এর নিচে), তাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ‘হেলদি’ ও ‘আনহেলদি’—দুই ধরনের কোলেস্টেরলই কম থাকে। এর ফলে স্পার্ম উৎপাদনের হারও কমে যায়।
একজন পুরুষের যেমন তলপেটে চর্বি কমানোটা জরুরি, ঠিক একইভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করাটাও জরুরি। এ ছাড়া দুই ক্ষেত্রেই আপনি দুর্বল পুরুষত্বের সমস্যায় ভুগবেন।

