ওকে//মানিক সুনামগঞ্জে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় অন্তত দুজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী। তারা হলো- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান খুশী ও সফিকুল ইসলাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা শান্তিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। অটোরিকশাটি বাহাদুরপুর এলাকায় পৌঁছালে সিলেট থেকে আসা বিপরীতমুখী একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সিএনজি অটোরিকশা। এ সময় থেঁতলে যায় ভেতরে থাকা যাত্রীরা। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বাস রেখে চালক পালিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার ও বাসটি জব্দ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ থানার এসআই আনিস বলেন, বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ধে নিহতদের উদ্ধার ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাঁসুয়া-বল্লম নিয়ে হামলা জনশূন্য সাঁওতালপল্লি ক্স অন্তত ১২টি পরিবার ঘর ছেড়ে পালিয়েছে ক্স ঘরবাড়ি ভাঙচুর, পচে গেছে হাঁড়ির ভাত, ছড়িয়ে ছিটিয়ে জিনিসপত্র ক্স প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ইউএনওর পবা (রাজশাহী) প্রতিনিধি রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগসারা গ্রামের বারনই নদীর তীরে অবস্থিত সাঁওতালপাড়ায় বিএনপি কর্মী বাবলু ও তার অনুসারীদের সশস্ত্র হামলার ঘটনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল বুধবার দুপুর ও সন্ধ্যায় দুই দফায় চালানো ওই হামলার পর থেকে ওই এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অন্তত ১২টি পরিবারের সদস্যরা ঘরবাড়ি ফেলে পালিয়ে গেছেন। ঘরগুলো এখন জনশূন্য। হাঁড়িতে রান্না করা ভাত পচে গেছে, বারান্দায় কাপড় ঝুলছে, অথচ কোনো মানুষ নেই। সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার কয়েকটি মাটির ঘরের দেয়াল ভাঙা, দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে। অনেক ঘরে এখনো বিদ্যুৎ বিল টাঙানো অবস্থায় রয়েছে। একটি ঘরের বিল অনুযায়ী, মালিক শ্যামল মুর্মু, এই সাঁওতালপাড়ার সরদার। পাশের আরেকটি বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের কাগজে মালিক হিসেবে নাম রয়েছে বেরজন টুডুর। উভয়ের ঘরেই ভাঙচুরের চিহ্ন স্পষ্ট। অপর একটি ঘরে মশারি টাঙানো, চৌকি উলটে আছে, হাঁড়িতে পচা ভাতের গন্ধ ছড়াচ্ছে। বারান্দার দড়িতে এখনো ঝুলছে কাপড়চোপড়। প্রতিটি ঘরেই আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। সবাই যখন প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছেড়েছেন, তখন একজনই রয়ে গেছেন, বৃদ্ধা অমলা দাসী। তিনি জানান, মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে চিকিৎসার জন্য নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে এসেছিলেন। কিন্তু চলাফেরায় অক্ষম হওয়ায় তিনি পালাতে পারেননি। পরিবারের অন্য সদস্যরা ভয়ে পালিয়ে গেছেন। স্থানীয় সূত্র ও সাঁওতালপাড়ার সরদার শ্যামল মুর্মু জানান, বাবলুর জমির সামনে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বসবাস থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন সকালে বাবলুর সঙ্গে পাড়ার এক নারী মালতী দেবীর ময়লা ফেলা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মারধরও হয়। এরপর দুপুরে ও সন্ধ্যায় দুই দফায় হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল, হাঁসুয়া, বল্লম, ছোরা। স্থানীয় এক ভ্যানচালক জানান, দুপুরে প্রথম দফায় এবং সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালানো হয়। বিকেলের হামলায় আরও কয়েকজন বহিরাগতও অংশ নেন। বাবলুর স্ত্রী ডলি বেগম দাবি করেন, সাঁওতালপাড়ার লোকজন তাদের জমিতে ফসল ফলাতে দেয় না। সে দিন মদ খেতে নিষেধ করায় তারা স্বামীকে মারধর করা হয়। তবে বাবলু ঘর ভাঙেননি বলেও দাবি করেন তিনি। পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমান আজিজ বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। সাঁওতালদের পক্ষে শ্যামল মুর্মু, তার স্ত্রী ও এক ব্যক্তি ছোটন অভিযোগ করেছেন। আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাঁধ ছিল ভরসা, এখন ভয় ক্স আলফাডাঙ্গায় মধুমতী নদীর নতুন বাঁধ ধসে চরম উদ্বেগে স্থানীয়রা ফরিদপুর প্রতিনিধি যেখানে ছিল স্থায়ী বাঁধের আশ্বাস, এখন সেখানে আতঙ্ক। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতী নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের সদ্য নির্মিত অংশ ধসে পড়ায় নদীতীরবর্তী শতাধিক পরিবার চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। গোপালপুর ও টগরবন্দ ইউনিয়নের সংযোগস্থল চর আজমপুর এলাকায় ৩০ মিটার বাঁধ ধসে পড়ার পর এমন ভয়াবহ বাস্তবতার মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা। চর আজমপুরের বাসিন্দা হান্নান শরীফ বলেন, ‘বাঁধের কাজ দেখে আমরা ভরসা পেয়েছিলাম। এখনো পুরো কাজ শেষ হয়নি, তার আগেই ধসে পড়ল। এই কাজ ভালো হয়নি বলেই এমন হচ্ছে।’ ধসে যাওয়া বাঁধটি এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ২০২৩ সালের জুনে একনেক সভায় অনুমোদিত ‘মধুমতী নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ৭.৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ফরিদপুর ও মাগুরা জেলায়। চর আজমপুর অংশের ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন মল্লিক, ব্যয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। ধসের খবর পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে। স্থানীয় শেফালী বেগম জানান, ‘স্থায়ী বাঁধ দেখে ধার করে ঘর তুলেছিলাম, এখন সেটাও ভাঙনের হুমকিতে।’ এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণে তদারকির অভাব ছিল এবং নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার হয়েছে। পাউবোর ফরিদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন অবশ্য এসব অভিযোগ নাকচ করে দেন। তার ভাষ্য, ‘আমাদের অন্য প্যাকেজগুলোর তুলনায় কাজটি ভালো হয়েছে। ঢালাওভাবে তদারকির অভাব বলাটা সঠিক নয়। ধসের কারণ নদীর স্রোতধারার পরিবর্তন।’ তিনি জানান, প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে এবং ঠিকাদারকে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান জানান, নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। আপাতত জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পানি কমলে ব্লক বসিয়ে মেরামতের কাজ শুরু হবে। বাকি না দেওয়ায় দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পুলিনুস দারিং (৪০) নামের এক চা-দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাকি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় পুলিনুসকে হত্যা করা হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বল মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী কমলকান্দা থানায় একটি মামলা করেন, এতে আসামি করা হয় খারনৈ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত খেলন রেমার ছেলে আইয়ুব মারাককে (৫০)। হত্যার এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত পুলিনুস ওই ইউনিয়নের খানৈই গ্রামের মৃত কালাদিওর ছেলে। তিনি বল মাঠ এলাকায় চা-দোকান করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আইয়ুব প্রায়ই পুলিনুসয়ের দোকানে চা খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেতেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে আইয়ুব দোকানে এলে পুলিনুস বাকিতে চা বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে আইয়ুব তার বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে পুলিনুসকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন আইয়ুবকে আটক করে পুলিশে দেয়। কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অলিভিয়া চিসিম মামলা করেছেন। সেই মামলায় আইয়ুবকে গ্রেপ্তার দেকানো হয়েছে। দুপুরে তাকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হবে। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই যমজ ভাইয়ের মৃত্যু নেত্রকোনা প্রতিনিধি নেত্রকোনার পূর্বধলায় ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ভাই মারা গেছেন। তারা যমজ ছিলেন। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা একে অপরকে খুবই ভালোবাসতেন। প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজনের ধারণা এক ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে অন্য ভাই মারা যান। হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মেঘশিমুল মধ্যপাড়া গ্রামে। মৃতরা হলেন- ওই গ্রামের মো. হাসেন আলী (৫৬) ও মো. হোসেন আলী (৫৬)। হাসেন আলী ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। আর হোসেন আলী স্থানীয় একটি স’মিলে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মো. হাসেন আলী গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর যমজ ভাই মো. হোসেন আলী কান্নাকাটি ও শোকাহত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওই দিন রাত ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে তিনিও মারা যান। হাসেন আলীর পরিবারে সাত ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। হোসেন আলী স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। হোসেন আলীর জানাজা গত সোমবার সকালে এবং হাসেন আলীর জানাজা গত মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাড়িতে সম্পন্ন হয়। তাদের পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়। প্রতিবেশী আজাদুর রহমান বলেন, যমজ এই দুই ভাইয়ের মধ্যে ছিল গভীর সম্পর্ক। একজনের মৃত্যু অন্যজন মেনে নিতে পারেননি বলেই হয়তো এত দ্রুত চলে গেলেন তিনিও। এ ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া নেমেছে। পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নূর আলম জানান, তিনি দুই ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছেন। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও বিষয়টি হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেন। সৈকতে ভেসে আসা অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার কক্সবাজার ব্যুরো কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী-পাটুয়ারটেক এলাকায় সমুদ্রসৈকত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, মেরিন ড্রাইভের ইনানী পাটুয়ারটেক সৈকত থেকে প্রায় ৫০০ মিটার পূর্ব দিকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ ভেসে আসে। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে ঘটনাস্থলে ইনানী ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে সুরতহাল প্রস্তুতপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, এখন পর্যন্ত মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই। পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। তার পরনে কোনো কাপড় ছিল না। মুখে তিনটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সৈকতের বালিয়াড়িতে মরদেহটি পড়ে ছিল। ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দুর্জয় সরকার বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় পৃথক স্থানে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় এক দিনে তিন মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ায় গতকাল বুধবার পৃথক তিনটি স্থানে এক নারী ও দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কোটপাড়া এলাকায় ইংলিশ প্লাটফর্ম কোচিং সেন্টারের চত্বর থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় নারীর (২৫-৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। একই দিন সকালে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গ্যারেজের পেছন থেকে আরও এক অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মিরপুর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম জানান, মরদেহটি বহুদিন আগের বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিচয় শনাক্ত ও মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, সেদিন সকালে কুষ্টিয়ার জগতি-পোড়াদহ রেললাইনসংলগ্ন এসোগড়ি এলাকায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে সিয়াম (২১) নামের এক যুবক নিহত হন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রেম করে ৬ মাস আগে সুমাইয়া নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন সিয়াম। তবে স্ত্রীর পরিবারের অমতে এ বিয়েতে সম্প্রতি ডিভোর্স হয়। স্ত্রীকে হারানোর বেদনা সহ্য করতে না পেরে সিয়াম চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত সিয়াম কুষ্টিয়ার খাজানগর আদেরপাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে। তিনটি ঘটনাতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিয়ের ভুয়া কাগজে প্রবাসী নারীর টাকা আত্মসাৎ বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি নওগাঁর ধামইরহাটে প্রবাসী নারীকে মিথ্যা বিয়ের ফাঁদে ফেলে রবিউল ইসলাম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে সাড়ে ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী ওই নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে ধামইরহাট সাংবাদিক ইউনিয়নের এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ফজিলাতুন নেছা। সে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের চক ভাইখাঁ গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের মেয়ে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৭ সালে প্রথমে সৌদি আরবে প্রবাস জীবন শুরু করি। পরে সেখান থেকে ওমান দেশে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের বিকন্দখাস এলাকার আসাদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে তার সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। পরে ১০০ টাকার একটি ভুয়া স্ট্যাম্পের মাধ্যমে আমাদের বিবাহের চুক্তিপত্র হয়। সেই থেকে আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর স্বামী-স্ত্রীর মতো নিয়মিত কথা বলি। পরে তাকে নিজের স্বামী হিসেবে বিশ্বাস করে ব্যাংকের মাধ্যমে তিন লাখ এবং বিকাশের মাধ্যমে সাড়ে চার লাখ টাকা পাঠাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাকে উপজেলার হরিতকীডাঙ্গা বাজারে ফার্মেসির দোকান পর্যন্ত তৈরি করে দিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি, ভুয়া স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আমার টাকা আত্মসাৎ করেছে। আরও জানতে পারি, সে বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা। কিন্তু বিয়ের বিষয়ে মিথ্যা বলে সে আমার টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযুক্ত রবিউলের পক্ষের লোকজন আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই, পাশাপাশি আমার কষ্টে উপার্জিত টাকা ফেরত চাই।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নদীগর্ভে একে একে ৭টি ব্রিজ # ভাঙা ব্রিজের সঙ্গে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করা হচ্ছে # থমকে গেছে অর্থকরী ফসল, মাছ ও শাক-সবজি পরিবহন # আর্থিক ক্ষতির মুখে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা # চরম ভোগান্তিতে তিনটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ # দ্রুত দুটি ব্রিজ নির্মাণ করবে এলজিইডি: ইউএনও আব্দুল মোমিন, সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা মরিচ্চাপ নদীতে একে একে ভেঙে পড়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাতটি ব্রিজ ও কালভার্ট। বর্তমানে ভাঙা ব্রিজের সঙ্গে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। এ কারণে প্রবহমান নদীর দুপাশের তিনটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিকল্পনার অভাব ও অনিয়মের মাধ্যমে ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজগুলো তৈরির সময় মানা হয়নি সিএস রেকর্ড, নেওয়া হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মতামতও। যদিও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নকারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনগণের সুবিধার্থে দুটি ব্রিজ দ্রুতই নির্মাণ করবে এলজিইডি। জানা যায়, সাতক্ষীরার সদর, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলার ওপর দিয়ে মরিচ্চাপ নদীর ওপরে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন ‘গ্রামীণ রাস্তায় ছোট ছোট দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট থেকে ৬০ ফুট। এর মধ্যে বাকড়া ব্রিজ, কামালকাটি, কুন্দুড়িয়া, হিজলডাঙ্গা, শিমুলবাড়িয়া, দাড়ার খাল এবং এল্লারচর ব্রিজ রয়েছে। এগুলো নির্মাণে ব্যয় হয় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সম্প্রতি পাউবো নদী পুনঃখনন করায় নদীর গভীরতা বেড়েছে। ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্যের চেয়ে নদী আরও চওড়া হয়েছে। এতে নদী প্রাণ ফিরে পাওয়ায় জোয়ার-ভাটার পানির তোড়ে ব্রিজগুলো নদীর মধ্যেই ভেঙে পড়েছে। ফলে প্রবহমান নদীর দুপাশের তিনটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই এলাকার অর্থকরী ফসল, মাছ, ধান ও শাক-সবজি পরিবহনেও ব্রিজগুলো ব্যবহার হয়ে আসছিল। বর্তমানে ব্রিজগুলোর ওপরে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন নদীর দুই পাড়ের মানুষ। আগে যেখানে উৎপাদিত কৃষিসহ অন্য পণ্য ও প্রয়োজনীয় মালামাল ছোট-বড় পিকআপ-ট্রাকে করে ব্রিজ দিয়ে চলাচল পারত। ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ায়, তা আর সম্ভব হচ্ছে না। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন, ওই এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। আবার লোকজন অসুস্থ হলে রোগী নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে আসার জন্য কোনো অ্যাম্বুলেন্স ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে না পারায় বিপদে পড়েছেন, এই অঞ্চলের রোগী ও তাদের পরিবার। হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আসার জন্য পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা এখন আমাদের ২০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজগুলো তৈরি হওয়ার কারণে সরকারের পুরো টাকাটাই জলে গেছে। আর আমরা পড়ছি মহাবিপদে।’ জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল জানান, মরিচ্চাপ নদীতে পাউবো অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজগুলো নির্মাণ করায় সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিছু দিন তারা চলাচল করতে পারলেও এতে জনগণের কোনো লাভ হয়নি। উলটো ওই এলাকার জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমেদ জানান, নদী খননের কারণে ব্রিজগুলো ভেঙে গেছে। বর্তমানে জনগণের কথা চিন্তা করে ধসে পড়া সাতটি ব্রিজের মধ্যে দুটি দ্রুতই নির্মাণ করবে এলজিইডি। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন জানান, সম্প্রতি পাউবো নদী খনন করায় নদীগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঠিকই কিন্তু ব্রিজগুলো ভেঙে যাওয়াই সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী বিপদে পড়েছেন। এ ধরনের ব্রিজ নির্মাণকালে প্রকৃত প্রশ^স্ততা কতটুকু, তা বিবেচনা করা উচিত ছিল। তবে আগামী দিনে এ ধরনের কোনো ব্রিজ করতে সমন্বয় করা হবে। ওকে//মানিক বাছুর বিতরণ হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে সমম্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে বকনা বাছুর ও গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ছয়টি ইউনিয়নের ৬ জন সুফলভোগীকে একটি বকনা বাছুর ও চার বস্তা (১০০ কেজি) করে দানাদার খাদ্য বিতরণ করা হয়। সুফলভোগীরা হলেন- গেদুরা ইউনিয়নের সুজন মুরমু, আমগাঁও ইউনিয়নের শ্যামলি হেমরম, বকুয়া ইউনিয়নের ফুলমনি মুরমু, ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের হেমন্ত সরেন, হরিপুর ইউনিয়নের লিটন মুরমু ও ভাতুরিয়া ইউনিয়নের বিমল। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সোহাগ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা মো. সোহানুজ্জামান প্রমুখ। মরদেহ উদ্ধার নেত্রকোনা প্রতিনিধি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ধলাই নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মরদেহ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতর থেকেই তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- জেলার পূর্বধলা উপজেলার মো. জিয়া (২০) ও মো. মারুফ (২৪)। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাত ৩টার দিকে ছেঁছরাখালী বাজারসংলগ্ন ধলাই নদীতে বালুবাহী নৌযানটি ডুবে যায়। এতে তিনজন শ্রমিকের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠলেও বাকি দুজন নিখোঁজ ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ময়মনসিংহ ও ধোবাউড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি উদ্ধারকারী দল অভিযান শুরু করে। পুলিশও তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে। ড্রেজার দিয়ে বাল্কহেডের ভেতরের বালু সরানোর পর তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩৬০ জন শিক্ষার্থীকে ফুল, ক্রেস্ট ও উপহার প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল সকালে দলটির উপজেলা শাখার আয়োজনে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. আব্দুর রব। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মেধাবীদের ভূমিকা রাখতে হবে। আদর্শবান মানুষ হিসেবে দেশ ও জাতি গড়তে দায়িত্ব নিতে হবে। ত্রাণ বিতরণ লালমনিরহাট প্রতিনিধি ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। এতে নদীপারের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ে হাজারো মানুষ। এ অবস্থায় পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি। গতকাল দুপুরে জেলার রাজপুর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। এ সময় প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি তেল দেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক, ইকবাল হোসেন, রাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজার রহমান লিটন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। দুদকের অভিযান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুপুরে এ অভিযানে যায় দুদকের একটি দল। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা পরিষদ নির্মিত ভবনের ২৫২টি দোকান বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল অভিযান চালায়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযানে বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। বিজন কুমার বলেন, জেলা পরিষদ ভবনের দোকান বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সব কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ট্রলিচাপায় নিহত সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ফরিদপুরের সালথায় ট্রলিচাপায় হুসাইন কারিকর (৩) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে ১টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী টু বাউশখালী রোডের যদুনন্দী মৌলভীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি যদুনন্দী গ্রামের মৌলভীপাড়া এলাকার নাজমুল কারিকরের ছেলে। এলাকাবাসী জানান, শিশুটি বাড়ির ভেতর থেকে দৌড় দিয়ে রাস্তার গেলে চলন্ত ট্রলির নিচে পড়ে যায়। তৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, ট্রলিচাপায় শিশু নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।