কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি দা’র কোপে আহত বিএনপি নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার মারা গেছেন। নিহত রহিম ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি।
এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার (১৩ জুলাই)। এ সময় রহিমসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের আরও কয়েকজন আহত হন।
হামলার পর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ও পরে নেওয়া হয় চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বড় ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার।
তিনি জানান, স্থানীয় ফাতের ঘোনা ইউনিট জামায়েতের সভাপতি আব্দুল আল নোমান, জামাই মিজান, মুজিব, এনাম এরা সবাই হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইকে নির্মমভাবে যারা কুপিয়ে হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।’
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জামায়াতে ইসলামীর এক স্থানীয় নেতাকে ঘটনার দিনই আটক করেছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পর শোক প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান কাজল।
তিনি দলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি এড. সৈয়দ আহম্মেদ উজ্জ্বল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতে ইসলামী সভাপতির হাতে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি রহিম উদ্দিন সিকদার নিহত হয়েছে।
রহিম সিকদার নিহতের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ বলছে, দোষীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।