কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে মাথাপিছু দেওয়া হচ্ছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর হঠাৎ রাজধানীর সড়ক কিংবা দেশের অন্য কোনো স্থানে দেখা যায় কর্মী-সমর্থকদের ঝটিকা মিছিল। এসব মিছিল থেকে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। মিছিল ছাড়াও গুপ্তভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে।
এ ঝটিকা মিছিলের জন্য কর্মী-সমর্থকদের টাকার বিনিময়ে আনা হচ্ছে বিভিন্ন জেলা থেকে। ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় গত ১০ মাসে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, নাশকতার উদ্দেশ্যেই টাকা দিয়ে এসব কর্মসূচিতে লোক আনা হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে এসব তথ্য। মিছিলের জন্য যারা টাকা দিচ্ছে, খুঁজে বের করা হবে তাদেরও।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী যারা মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ করে শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে, এমন যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি। যারা তাদের আশ্রয় দিচ্ছে, ইন্ধন দিচ্ছে, অর্থ সহায়তা দিচ্ছে তাদেরও আমরা আইনের আওতায় আনছি।
টাকা নিয়ে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে, শঙ্কা বিশ্লেষকের।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধ্যমতো অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তারা শুধু গ্রেপ্তারই করতে পারবে, কত গ্রেপ্তার করবে।
নির্বাচনের আগে জনমনে স্বস্তি আনতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল বা সংগঠনের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন