মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

থানচিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বিজিবির

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া ছবি।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া ছবি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) কর্তৃক বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের অন্তর্গত অত্যন্ত দুর্গম বুলুপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ এবং স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী বিদ্যালয়টির উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবারসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী এবং চকলেট ও বিস্কুট বিতরণ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অধিনায়ক বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দুর্গম পার্বত্য সীমান্ত এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী আলীকদম ব্যাটালিয়ন সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।

‘অপারেশন উত্তরণ’ কর্মসূচির আওতায় ব্যাটালিয়নটি দীর্ঘদিন ধরে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, খাদ্য ও পোশাক বিতরণ, শীতবস্ত্র প্রদান, অগ্নিকাণ্ড ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন মানবিক সেবা প্রদান করছে। এসব উদ্যোগ পার্বত্য অঞ্চলে সম্প্রীতি, শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে সহায়তা করছে।

অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষা উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে এবং সীমান্তবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের আলোর পথে নিয়ে আসতেই বুলুপাড়ায় এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আলীকদম ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

উল্লেখ্য, সীমান্তবর্তী বুলুপাড়া এলাকার এই বিদ্যালয়টি স্থানীয় ৩টি পাড়ার প্রায় ৫০টি পরিবারের ৭০-৮০ জন শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করবে। দীর্ঘদিন শিক্ষার বাইরে থাকা এসব শিশুর জন্য বিদ্যালয়টি হবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নতুন ভিত্তি।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগের জন্য স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবকবৃন্দ, কারবারি/হেডম্যানসহ সর্বস্তরের মানুষ বিজিবির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বিজিবি শুধু নিরাপত্তা বাহিনী নয়, দুর্গম পাহাড়ি এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার নির্ভরযোগ্য আশ্রয়।

বিদ্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পদবির বিজিবি সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় কারবারি, অভিভাবক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!