ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তপশিল পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সার্বিক প্রস্তুতি, অগ্রগতি এবং বিশেষ করে পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যালট পেপার আনা-নেওয়ার সময় চূড়ান্ত করা হবে।
এ ছাড়া তপশিলসহ ১০টি বিষয়ে সভার আলোচ্যসূচি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তপশিলের আগের ও পরের কার্যক্রমগুলো, গণভোট আয়োজনসহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা, মাঠপর্যায়ে সর্বোচ্চ যোগাযোগ, মতবিনিময়, সমন্বয়সংক্রান্ত বিষয় ইত্যাদি।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি দৃঢ় করতে ইসি আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা সম্পন্ন করেছে। প্রথা অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে বঙ্গভবনে যাবে ইসির প্রতিনিধিদল। এরপর কয়েক দিনের মধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তপশিল ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিসি, ইউএনও, এসপি, ওসিসহ মাঠ প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, মক ভোটিংয়ে দেখা গেছে, অনেক ভোটার গণভোটের ব্যালট পেপার পড়তে গিয়ে ভোট দিতে বেশি সময় নিচ্ছেন। আবার অনেক ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষ বাড়ানোর মতো অবকাঠামো নেই। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এ ধরনের চ্যালেঞ্জ বেশি।
মক ভোটিং অভিজ্ঞতা ও মাঠপর্যায়ের মতামত বিবেচনায় গোপন কক্ষ বাড়ানো এবং ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজকের বৈঠকেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ইসির এই বৈঠককে তপশিল ঘোষণার শেষ প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।


