জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে যাওয়ার পথে এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান কলম নামের ওই কর্মীর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরমিরকামারী গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে বাসে সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন কলম বিশ্বাস। রাত আড়াইটার দিকে গাজীপুরের চান্দুরা এলাকায় বাসের মধ্যে অসুস্থ হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
পাবনা জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য গোলাম রব্বানী খান জুবায়ের বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান কলম বিশ্বাস যমুনা সেতু পার হওয়ার পর অসুস্থ অনুভব করলে তাকে বাসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চান্দুরা এলাকায় পৌঁছালে তার অবস্থার অবনতি হয়। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাত দফা দাবিতে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ধারণা করা হচ্ছে, সমাবেশ থেকে দলটি নির্বাচন ও জাতীয় রাজনীতি নিয়ে দিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বার্তা। এদিকে ফজরের আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে দলটির মহাসমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গতরাত থেকেই উদ্যানে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট গেট ও চেকপোস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। মেডিকেল টিম, পানির ব্যবস্থা, ভলান্টিয়ার টিমসহ সমাবেশ পরিচালনায় একটি শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা গঠন করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যখন তীব্র বিতর্ক চলছে, সে সময়ে জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় বিশাল সমাবেশ করতে যাচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশে জামায়াত স্মরণকালের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে।
সমাবেশে আসা বিপুল পরিমাণ লোকের গাড়ি পার্কিং, অজু-নামাজের ব্যবস্থা এবং টয়লেট স্থাপন, মেডিকেল বুথ স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটি।
জানা গেছে, এতদিন ঢাকার পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, পল্টন ময়দানসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অতীতে অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কখনোই এককভাবে বড় সমাবেশ করেনি দলটি।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠেন দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘জাতীয় সমাবেশ’ করার মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক সক্ষমতা জানান দিতে চাইছে দলটি। এই সমাবেশে ভিন্ন বা বিশেষ কিছু রয়েছে বলে জানান জামায়াতের নেতারা।