সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ জাতীয় সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির দাবি, এটি স্মরণকালের সবচেয়ে বৃহৎ সমাবেশ হতে যাচ্ছে। সমাবেশে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টায় মূল সমাবেশ শুরু হবে। তবে সকাল ১০টা থেকেই সাংস্কৃতিক আয়োজনসহ নানা কর্মসূচি চলবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের বিস্তারিত তুলে ধরেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মাঠের ভেতরে-বাইরে থাকবে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন এবং ৩১০টি মাইকের হর্ন।’
এ সমাবেশ ঘিরে অংশগ্রহণকারীদের সহায়তায় নিয়োজিত থাকবে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি থাকবে ১৫টি মেডিকেল বুথ ও গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত ১৫টি স্পট। আয়োজন বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে আটটি উপকমিটি।
গোলাম পরওয়ার জানান, ‘মূল মঞ্চের দৈর্ঘ্য হবে ২২০ ফিট। আগতদের জন্য রাখা হয়েছে ৫০ হাজার বোতল মিনারেল ওয়াটার।’
সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেখানে অংশ নেবে জামায়াতের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সদস্যরা। বিকেলের মূল পর্বে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন ইসলামি ও রাজনৈতিক দলের নেতা, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিরা।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সম্ভাব্য জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে নগরবাসীর প্রতি সহনশীল ও ক্ষমাশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শনের অনুরোধ জানান তারা।