বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনি রেসে নেই, তাদের নেত্রীও অনুপস্থিত তাই তাদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার কিছু নেই।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন আমীর খসরু।
তিনি বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কীভাবে অগ্রসর হচ্ছে, মনোনয়ন প্রক্রিয়ার অবস্থা এবং নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ কেমন এসব বিষয় নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আমীর খসরু জানান, ইইউ নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে, পর্যবেক্ষক পাঠাবে এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। তারা চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, যাতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, বলেন তিনি।
বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ২৩৭টি মনোনয়ন ভালোভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে, এবং আমরা মনে করি প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।
জুলাই সনদ নিয়ে তিনি বলেন, আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। এরপরও যদি কিছু বাকি থাকে, তা স্পষ্ট নয়।
আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা মূলত আইনশৃঙ্খলার বিষয়। বাহিনীগুলো কঠোর অবস্থানে থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা। যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনি প্রতিযোগিতায় নেই, তাদের নেত্রীও অনুপস্থিত তাদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় নেই, দেশে কার্যত নিষ্ক্রিয় বা নিষিদ্ধ কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের কারণে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না। দেশজুড়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যেই নির্বাচনি কার্যক্রম চলছে।
শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে এবং সময়মতো একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন