জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত আসলে জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি মনে করেন, গণঅভ্যুত্থান প্রশ্নে ভারত যতদিন তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে, ততদিন বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক শীতল থাকবে।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, যেদিন জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে, সেদিনই জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হয়েছে। কোনো বাছবিচার ছাড়াই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তবে এখনো ঐক্যের সুযোগ রয়েছে।
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, একদল সংস্কারকে ব্যর্থ করতে চায়, আরেক দল নির্বাচন পেছাতে ব্যস্ত। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচিত হলে গণভোট নির্বাচনের দিন হলেও সমস্যা নেই। তবে সনদটি অবশ্যই ড. ইউনূসকে জারি করতে হবে। প্রেসিডেন্ট চুপ্পু এতে স্বাক্ষর করলে তা হবে সংস্কারের কফিনে শেষ পেরেক।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের পক্ষে যদি কেউ না থাকে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। কোনো দলের চাপে সরকার বাস্তবায়ন আদেশে টেক্সট পরিবর্তন করেছে। প্রথম খসড়ায় যেমন ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটি সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আমাদের সমর্থন পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বরং এটি নিয়ে অযথা বিতর্ক ও ভীতি ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবকে ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তার ছবি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা সংবিধানে কোনোভাবেই থাকা উচিত নয়। বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেমন ছিল, সেটিতে পরিবর্তন এলে এনসিপি তা সমর্থন করবে না।
প্রতীক ইস্যুতে এনসিপি আহ্বায়ক অভিযোগ করেন, নতুন দল হিসেবে সহযোগিতার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন আমাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। অথচ শাপলা কলি প্রতীকের সিদ্ধান্ত এক মাস আগেই দেওয়া সম্ভব ছিল। আমরা এখনো সেই প্রতীকেই অটল।
