সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি পুরোপুরি নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডকে সকালে দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম।
দিনের শেষেও জয়-মুমিনুল জুটির দৃঢ়তায় বড় লিডের পথে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৩৩৮, যেখানে টাইগাররা ৫২ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে।
দীর্ঘ ১৭ ইনিংসের রানের খরা কাটিয়ে দুরন্ত ফর্মে মাহমুদুল হাসান জয়। ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিকে তিনি টেনে নিয়ে গেছেন ১৬৯ রানে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে তিনি নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসকেও ছাড়িয়ে গেছেন।
এখন তার সামনে হাতছানি টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির! প্রথম দিন যেখানে বোলাররা আইরিশদের আটকে রেখেছিলেন, দ্বিতীয় দিন সেখানে ব্যাটে ঝড় তুললেন টাইগাররা।
দিনের শুরুতে আইরিশদের ২৮৬ রানে অলআউট করার পর, বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল চোখে পড়ার মতো। উদ্বোধনী জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয়ের সাথে দেশের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ সেরা ওপেনিং জুটি গড়েন সাদমান ইসলাম।
১৬৮ রানের বিশাল এই জুটি ভাঙার আগে সাদমান ১০৪ বলে ৯ চার আর ১ ছক্কায় ৮০ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে তিনি সাজঘরে ফিরলেও, দলের ভিত গড়ে দিয়ে যান।
এরপর ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। অফফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান যেন ফিরে পেলেন পুরোনো ছন্দ। জয়ের সাথে জুটি বেঁধে তিনি অপরাজিত আছেন ৮০ রানে। ইতোমধ্যে তারা দুজনে অবিচ্ছিন্ন ১৭০ রানের জুটি গড়েছেন। মুমিনুলের ব্যাটেও এখন শতকের হাতছানি!
বুধবার ৮ উইকেটে ২৭০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু টাইগার বোলাররা এদিন আর মাত্র ১৪ বল খেলতে দেন সফরকারীদের। ১৬ রান যোগ করে ৯২.২ ওভারে ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা। তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ দিনের প্রথম সেশনেই বাকি দুই উইকেট তুলে নেন।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। জোড়া উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মুরাদ। একটি উইকেট পেয়েছেন নাহিদ রানা।



