পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে ‘ডেথ সেলে’ বন্দি করে রাখা হয়েছে। সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না আইনজীবী ও নিকট আত্মীয়দের। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারাগারের ‘ডেথ সেলে’ বন্দি রাখার অভিযোগ উঠেছে। আইনজীবী ও স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি রাজনৈতিক সহকর্মীদের বেলাও কড়াকড়ি আরোপ করেছে শাহবাজ শরীফের সরকার! এমন সব অভিযোগের মুখে এবার পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন খোদ ইমরান খান।
৭২ বছরের এই ক্রিকেটার তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, জেলের মধ্যে তার বা স্ত্রী বুশরা বিবির কিছু হলে যেন আসিম মুনিরকে জবাবদিহি চাওয়া হয়। দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত দু’বছর ধরে পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবি।
সম্প্রতি পিটিআই প্রধান এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লেখেন, গত কয়েক দিন ধরে দুর্ব্যবহারের মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে। আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। এমনকি তার ঘরের টেলিভিশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
ইমরানের দাবি, এসব কিছুর নেপথ্যে রয়েছেন আসিম মুনির। তার নির্দেশেই জেলের মধ্যে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন সস্ত্রীক ইমরান।
ইমরানের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, আইএসআই প্রধানের পদ থেকে আমি মুনিরকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। এর পরেই পিটিআই-এর জুলফি বুখারির মাধ্যমে বুশরা বিবির সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলে, আমি তা প্রত্যাখান করে দিই।
বুশরা বিবির মাধ্যমে আমাকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মুনির। ইমরানের দাবি, এরপর থেকেই মুনিরের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে বুশরা বিবি এবং তার উপরে।
তিনি আরও লিখেছেন, আমার বা আমার স্ত্রীর কিছু হলে দায়ী থাকবেন মুনির—সেইমতো আমি আমার দলকেও আগে থেকে জানিয়ে রাখছি।
তিনি পাকিস্তানের মানুষের উদ্দেশে বলেন, আমি সারাজীবন জেলে কাটাতে পারি কিন্তু কোনোভাবেই অন্যায় এবং অত্যাচারের কাছ মাথা নোয়াব না। পাকিস্তানের নাগরিকদেরও বলছি, কোনো অবস্থাতেই অন্যায়কে মাথা নিচু করে মেনে নেবেন না।
এদিকে, ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে মুক্ত করার দাবিতে ৫ আগস্ট দেশজুড়ে বিভোক্ষ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পিটিআই। শাহবাজ শরিফের সরকারের উপরে চাপ প্রয়োগ করে সেনা শাসন জারি করার দাবি জানানো হবে বলেও সূত্রের খবর। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন ইমরানের দুই ছেলে—সুলেমান ঈশা খান ও কাসিম খান।
আপনার মতামত লিখুন :