স্বাধীন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ২১ মাস ধরে বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ‘ইসরায়েল’। আকাশ, স্থল পথে চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত আক্রমণ, যেন রক্তলীলায় মেতে উঠেছে বর্বর সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে বিতাড়িত করতে উপত্যকাটির মধ্যাঞ্চলের একটি জনাকীর্ণ এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। ঘোষণা দিয়েছে সেখানে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতরা যেন সরে যায়, নয়তো যেকোনো সময় স্থল আক্রমণ শুরু করা হবে। খবর বিবিসির।
রোববার (২০ জুলাই) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে ‘ইসরায়েল’-এর প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এ দিন আকাশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দেইর আল-বালাহতে লিফলেট ফেলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘দেইর আল-বালাহ শহরে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অবিলম্বে সরে যেতে হবে। ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের আল-মাওয়াসির দিকে চলে যেতে হবে।’
আইডিএফ জানায়, ‘গাজায় প্রতিরক্ষা বাহিনী শত্রুর সক্ষমতা ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য প্রবল শক্তির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’ আইডিএফ এতদিন ওই এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থল সেনা মোতায়েন করেনি।
‘ইসরায়েল’-এর এই নির্দেশনার ফলে আসন্ন আক্রমণের শঙ্কায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অন্যাদিকে স্বাধীনতামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি ‘ইসরায়েলি’দের পরিবারের আশঙ্কা যে, তাদের স্বজনদের এই শহরেই আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে আইডিএফ সামরিক অভিযান শুরু করলে স্বজনদের জীবিত ফিরে পাওয়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
দেইর আল-বালাহর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো তাঁবুতে বসবাসকারী বাস্তুচ্যুত মানুষে পরিপূর্ণ।
‘ইসরায়েলি’ সূত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে জানিয়েছে, সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত এই এলাকা থেকে দূরে থাকার কারণ, তাদের সন্দেহ হামাস সেখানে জিম্মিদের আটক করে রাখতে পারে। গাজায় বন্দি থাকা বাকি ৫০ জন ‘ইসরায়েলি’ জিম্মির মধ্যে অন্তত ২০ জন এখনও জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :