ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

জাপানে উচ্চকক্ষে ভোট, প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে পারেন শিগেরু ইশিবা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
নির্বাচনী প্রচারণার ছবি দেখছেন এক পথচারী। ছবি- সংগৃহীত

জাপানে উচ্চকক্ষ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটাররা রবিবার (২০ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন। এই ভোটকে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার ক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে বলে জানান বিশ্লেষকরা।

উচ্চকক্ষে মোট ২৪৮টি আসনের মধ্যে ১২৫টি আজ ভোটে নির্ধারিত হবে। জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে হলে কমপক্ষে ৫০টি আসনে জয় প্রয়োজন।  

বুথফেরত জরিপে দেখা গেছে, ইশিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও তার জোটসঙ্গী কোমেইতো সংসদের উচ্চকক্ষের ২৪৮টি আসনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ৫০টি আসন পেতে ব্যর্থ হতে পারে এই নির্বাচনে।

জরিপে আরও দেখা গেছে, ছোট ছোট বিরোধী দলগুলো যারা কর হ্রাস এবং জনসেবা খাতে ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী, তাদের আসন সংখ্যা বাড়াতে পারে। দেশটির ডানপন্থি দল সানসেইতো এরইমধ্যে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, বিদেশি মূলধনের প্রবাহের বিরোধিতা এবং লিঙ্গ সমতা সংক্রান্ত পদক্ষেপ ফিরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারে দলটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জোটের দুর্বল ফলাফল বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নাড়িয়ে দিতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য আলোচনা ব্যাহত করতে পারে।

নির্বাচনের পর জাপানের সামনে ১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর সময়সীমা রয়েছে, তা না হলে দেশটি তাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজারে কঠোর শুল্কের মুখে পড়বে।

গত অক্টোবরে ইশিবার দল এলডিপি নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল। সেটি ছিল এলডিপির গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স, যা আর্থিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছিল এবং প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখে ফেলে দিয়েছিল।দেশটিতে ১৯৫৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে এলডিপি ।