রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) জানিয়েছে, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী নিহত সাংবাদিকদের প্রায় অর্ধেকের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল দায়ী। আজ মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, এ বছর মোট ৬৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ২৯ জনই গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনি সাংবাদিক।
আরএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ফলে টানা তিন বছর ধরে সাংবাদিক হত্যার দায়ে বিশ্ব তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইসরায়েল।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে ‘সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করছে সংস্থাটি।
গত ২৫ আগস্ট দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে তথাকথিত ‘ডাবল-ট্যাপ’ হামলায় রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের দু’জন অবদানকারীসহ পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হন। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচনা করছে আরএসএফ।
বিদেশি সাংবাদিকদের এখনো গাজায় প্রবেশের অনুমতি নেই। শুধুমাত্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রিত সফরের মাধ্যমেই সেখানে যেতে পারছেন সাংবাদিকরা, যা স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহের বড় বাধা বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
এদিকে ২০২৫ সালে মেক্সিকোও সাংবাদিকতার জন্য বিপজ্জনক ছিল। দেশটিতে নয়জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যদিও প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম সাংবাদিক সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ও সুদানেও যথাক্রমে তিন ও চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
আরএসএফ জানায়, সাংবাদিক হত্যার সংখ্যা এখনো উদ্বেগজনক হলেও তা ২০১২ সালের শীর্ষ রেকর্ড- সে বছরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে ১৪২ সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন- তার তুলনায় কম। তবুও বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সংকট কাটছে না।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২৫ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের ৪৭টি দেশে মোট ৫০৩ জন সাংবাদিক কারাবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে চীনে ১২১ জন, রাশিয়ায় ৪৮ জন এবং মায়ানমারে ৪৭ জন সাংবাদিক আটক রয়েছেন, যা বৈশ্বিক মিডিয়া স্বাধীনতার ওপর চলমান চাপের প্রতিচ্ছবি।
সূত্র: ডন

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন