রাজধানীর ফকিরাপুলে মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিবিদ্ধ গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্যের অবস্থা পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। সেসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ডিবি-লালবাগ বিভাগের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এনায়েত কবির শোয়েবের নেতৃত্বে বুধবার রাত ১২টার পর ডিআইটি এক্সটেনশন রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযানের সময় একটি প্রাইভেট কার থামিয়ে তল্লাশি চালানো হলে গাড়ির ভেতর থাকা এক ব্যক্তি গুলি ছোড়ে। এতে এএসআই আতিক হাসান ও কনস্টেবল সুজন গুলিবিদ্ধ হন। আতিকের পেটে এবং সুজনের পায়ে গুলি লাগে। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ডিবি জানায়, ঘটনার আগে ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে একই এলাকায় এক হাজার ইয়াবাসহ আবদুর রহমান নামে একজনকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে জানা যায়, একই রাতে আরও মাদক কারবারি আবদুল আজিজ ও হৃদয় সরকার আশিক একটি গাড়ি নিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে আসবে।
সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়। গুলির ঘটনার পর সাহসিকতার সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকেই আবদুল আজিজ ও আশিককে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৮ হাজার পিস ইয়াবা, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার, একটি পিস্তলের তিনটি খোসা ও এক রাউন্ড তাজা গুলি। সব মিলিয়ে উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক ২৭ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিবি সদস্যদের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জীবন বাজি রেখে মাদক নির্মূলে পুলিশ কাজ করছে।’
তিনি জানান, ‘আহত হয়েও চার মাদক কারবারির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যা প্রশংসনীয়।’