আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা
- ১ থেকে ৫ কোটি টাকা
- ১ লাখ ৮৬০টি
- ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা
- ১৩ হাজার ৫৫৮টি
- ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা
- ৪ হাজার ৪৪১ টি
- ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা
- ২ হাজার ১২২টি
- ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা
- ১ হাজার ৪০১টি
- ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা
- ৯৯৬টি
- ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা
- ৫৭৭টি
- ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা
- ৮১৭টি
- ৫০ কোটি টাকা
- ২ হাজার ১টি
সূত্র : বাংলাদেশ ব্যাংক
অর্থনৈতিক মন্দা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্থরগতির মধ্যেও তিন মাসে ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭৪টি। গত মার্চে ব্যাংকে কোটি টাকার ওপরে আমানতের স্থিতি রয়েছে এমন হিসাব ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি। গত জুন পর্যন্ত এ ধরনের হিসাব সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টিতে।
আলোচ্য সময়ে ওইসব হিসাবে আমানতের জমা অর্থের পরিমাণও বেড়েছে। ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারীর হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। পাশাপাশি ব্যাংক খাতেও সার্বিকভাবে আমানতের প্রবাহ বেড়েছে। তবে এবার ব্যতিক্রম হচ্ছে, গ্রামে ব্যাংকের শাখাগুলোতে আমানত শহরের তুলনায় বেশি বেড়েছে। আগে শহরের তুলনায় গ্রামে আমানত কম বাড়ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত জুন পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় থেকে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলে টাকা তোলার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। তবে গত ডিসেম্বর থেকে ব্যাংকে টাকা ফিরতে শুরু করেছে। তবে আগের তুলনায় আমানতের প্রবৃদ্ধির হার কমেছে। গত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে মার্চেও আমানত বেড়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং গ্রামে বেড়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছরের একই প্রান্তিকে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আমানতের প্রবৃদ্ধির হার কমায় গড়ে ব্যাংকগুলোতে এখনো তারল্য সংকট বিদ্যমান রয়েছে।
এখন মন্দার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ না হওয়ায় অনেকে টাকা এখন ব্যাংকে রাখছেন। এ ছাড়া আমানতের সুদের হার চড়া থাকায় ব্যাংকে বিনিয়োগকে লাভজনক মনে করছেন অনেকে। ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে কেউ বিনিয়োগমুখী হচ্ছেন না।
প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ১ কোটি টাকার বেশি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা গত মার্চে ছিল ৯৫ হাজার ৯৩২টি। গত জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৬০টিতে। ৫ কোটি টাকার বেশি থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা রয়েছে এমন আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা গত মার্চে ছিল ১২ হাজার ৯৯১টি। গত জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৫৮টিতে। ১০ কোটি টাকার বেশি থেকে ১৫ কোটি টাকা আমানত রয়েছে এমন হিসাবের সংখ্যা গত মার্চে ছিল ৪ হাজার ৪৪১টি। গত জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৮৪টি। ১৫ কোটি টাকার বেশি থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতকারীর হিসাব গত মার্চে ছিল ২ হাজার ৩৩টি। গত জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২২টিতে।
একই সময়ের ব্যবধানে ২০ কোটি টাকার বেশি থেকে ২৫ কোটি টাকার জমা রয়েছে এমন হিসাব সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৪টি থেকে বেড়ে ১ হাজার ৪০১টিতে দাঁড়িয়েছে। ২৫ কোটি টাকার বেশি থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা রয়েছে এমন হিসাবধারীর সংখ্যা একই সময়ে ৯৬০টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৯৬টি। ৩০ কোটি টাকার বেশি থেকে ৩৫ কোটি টাকা জমা রয়েছে এমন হিসাবধারীর সংখ্যা আলোচ্য সময়ে ৬টি কমেছে। গত মার্চে এ ধরনের হিসাব ছিল ৮৮৩টি। গত জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭৭টিতে। একটি ছাড়া বাকি সব ক্যাটাগরিতেই আমানতকারী হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে। এ ক্যাটাগরির হিসাবে জমা টাকার স্থিতিও কিছুটা কমেছে। ৩৫ কোটি টাকার বেশি থেকে ৪০ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা হিসাবের সংখ্যা আলোচ্য সময়ে ৩৭৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২০টি। ৪০ কোটি টাকার বেশি থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা হিসাবধারীর সংখ্যা ৭৬৯টি থেকে বেড়ে ৮১৭টি হয়েছে। ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন হিসাব সংখ্যা গত মার্চে ছিল ১ হাজার ৯২২টি। গত জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১টিতে।