ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

বললেন সারজিস

আগামী সংসদে নির্ধারকের ভূমিকায় থাকবে এনসিপি

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ১২:৫৯ এএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদে নির্ধারকের জায়গায় থাকবে এনসিপি। গতকাল সোমবার জয়পুরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। একই দিন বিকেলে বগুড়ায় সারজিস আলমের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ককটেল হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সারজিস আলম বলেন, ‘সরকারি দল হিসেবে এনসিপি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে, নয়তো শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবে। আমরা জাতীয় পার্টির মতো পোষা বিরোধী দল হিসেবে রাজনীতি করতে আসিনি। বাংলাদেশে যদি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল থাকে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় দলের ভোট কাছাকাছি হয়, তাহলে তৃতীয় দলই নির্ধারণ করে কে সরকার গঠন করবে। এনসিপি সেই তৃতীয় শক্তি হিসেবে আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘যে নির্বাচন কমিশন একটা রাজনৈতিক দলকে তার প্রাপ্য মার্কাটা দেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি প্রত্যাশা করে, শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। যদি শাপলা প্রতীক দিতে এনসিপির সঙ্গে অন্যায় করা হয়, তাহলে এ রাজপথে ও রাজনৈতিকভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। আমরা শাপলা প্রতীকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব।’

আগামী দুই মাসের মধ্যে জয়পুরহাট জেলা ও উপজেলার সব পর্যায়ের কমিটি গঠন শেষ করা হবে জানিয়ে সারজিস বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলকে আরও শক্তিশালী করার কাজ চলছে।’ সমন্বয় সভায় আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহাদী, জয়পুরহাট জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক ওমর আলী বাবুসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।

এদিকে, বগুড়ায় সারজিসের গাড়িবহর লক্ষ করে ককটেল হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিন জয়পুরহাটে সমন্বয় সভা শেষে বগুড়ায় আসেন সারজিস আলম। বগুড়া জেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে আরেকটি সমন্বয় সভায় যোগ দিতে বিকেল ৩টায় সেখানে আসেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে জেলা পরিষদে সমন্বয় সভায় যোগ দেন তিনি। এরপরই জেলা পরিষদের পেছনে করতোয়া নদীর পাশ থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয় বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি ককটেল জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিস্ফোরিত হলেও আরেকটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। খবর শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করেন তারা। এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেন, বারবার বলার পরও আগে থেকে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।