ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

চোরাই স্বর্ণের অর্থে ফ্ল্যাট-দোকান সব জব্দ করল সিআইডি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ১২:৫১ এএম

স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অভিযুক্ত শ্যাম ঘোষের নামে থাকা এসব সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয় (মামলা নং-১২)। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যাম ঘোষ ঢাকার সূত্রাপুরে বাবার হোটেলে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরির আড়ালে চোরাই স্বর্ণের কারবার চালাতেন। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গোপনে স্বর্ণ কেনাবেচা করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেন তিনি।

সিআইডির তদন্তে আরও উঠে আসে, চোরাচালানের অর্থ দিয়ে শ্যাম ঘোষ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক দোকান ও ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেÑ যমুনা ফিউচার পার্কের সি-ব্লকের ষষ্ঠ তলায় তিনটি দোকান (দোকান নং ৫সি-০৫৪, ৫সি-০৫৫, ৫সি-০৫৬), একই স্থানে ‘ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক স্পাই’ নামের একটি রেস্টুরেন্ট, কোতোয়ালি থানার ওয়াইজঘাটে ‘বাবুলী স্টার সিটি’ ভবনের পঞ্চম তলায় একটি ফ্ল্যাট, স্বামীবাগের ‘স্বর্ণচাপা’ ভবনের ষষ্ঠ তলায় নিজ ও ভাইয়ের যৌথ মালিকানাধীন একটি ফ্ল্যাট, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ‘নন্দন জুয়েলার্স’ নামের স্বর্ণের দোকান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র মহানগর স্পেশাল জজ আদালত এসব সম্পত্তির ওপর ক্রোকাদেশ দেন। ক্রোক করা সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ডিএমপি কমিশনারকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট জানিয়েছে, স্বর্ণ চোরাচালান ও মানি লন্ডারিংয়ের এ মামলার তদন্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে।