সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বছরের শেষ প্রান্তে এসেও প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৪২ জন আক্রান্ত হওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ৬০ হাজারের ঘর। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৭০২ জন। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যুও হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯৯, খুলনা বিভাগে বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৫৭ হাজার ৭০২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের আক্রান্তদের মধ্যে ৬১ দশমিক চার শতাংশ পুরুষ ও ৩৮ দশমিক ছয় শতাংশ নারী।
এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি জ¦র আসার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য বছরের থেকে কম। কারণ আমরা চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তরিক। সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর টেস্ট কিট আমরা বিনা মূল্যে দিচ্ছি। শুধু তাই নয়, যেসব এলাকায় রোগী বেশি সেসব এলাকায় চিকিৎসক থেকে শুরু করে সব ধরনের সহায়তা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন ব্যক্তির নিজের সচেতনতা আর সিটি করপোরেশনগুলোর মশকনিধন কর্মসূচি জোরদার করার বিকল্প নেই। যেহেতু আমরা এ রোগের কারণ জানি তাই এর থেকে বাঁচা খুব বেশি কঠিন বলে আমি মনে করি না।
এর আগে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
