মোরগ মামলার বিচার শুনতে মজার মনে হলেও ভারতের গুজরাটের এক গ্রামে সত্যিই ঘটেছে এমন মজার ঘটনা। গ্রামের এক কোণায় ছোট্ট একটা বাড়ি, আর সেখানে থাকে পঞ্চাশোর্ধ্ব রমেশ। দিনভর কৃষি কাজ করে, সন্ধ্যায় রেডিও শুনে ঘুমিয়ে পড়ে সে। কিন্তু সমস্যা একটাই- পাশের বাড়ির মোরগ! এই মোরগ ঘড়ি দেখে ডাকে না। ভোর ৪টায় একটানা ‘কু কুর কু’ করে গোটা পাড়া জাগিয়ে তোলে। রমেশ কয়েকদিন সহ্য করে। তারপর রাগে-গরমে একদিন হেঁটে চলে যায় থানায়। মোরগের নামে বিচার দেয় পুলিশের কাছে। রমেশ বিশাল এক লিস্ট বের করে, সেখানে লেখা: ভোর ৪টায় ডাক, দুপুরে অনায়াসে গান গাওয়া, বিকেলে আবার সুর তুলে গলা ছাড়ার চেষ্টা। পুলিশ প্রথমে হেসে ওঠে, পরে ঠাট্টা করে চিঠি পাঠায় মোরগের মালিককে। আদালত পর্যন্ত পৌঁছায় বিষয়টি। বিচারকও ঠাট্টা না করে বলেন: ‘আপনার মোরগকে একটা ঘড়ি দিন। সকাল ৬টার আগে ডাক দিলে ফাইন হবে!’ আর সেই থেকেই গ্রামের সবাই ওই মোরগকে ডাকত- ‘ঘড়িওয়ালা কু কু’!