- চরফ্যাশন পৌরসভা ও ৬ ইউনিয়নে ৫ মাস ধরে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ
- প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপ ও স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড সক্রিয় না হওয়ায় স্থবিরতা
- সুবিধাভোগী ১৬,১৬৮ পরিবার সুলভ পণ্য থেকে বঞ্চিত
ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা ও আশপাশের ৬ ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিক্রি পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রভাবশালীদের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড সক্রিয়করণ জটিলতার কারণে এই স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ১৬ হাজার ১৬৮ জন সুবিধাভোগী পরিবার সুলভ মূল্যে পণ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ডিলার সূত্রে জানা গেছে, চর মাদ্রাজ, ওমরপুর, কুকরী-মুকরী, মুজিবনগর, নুরাবাদ, নীলকমল এবং পৌরসভায় গত এপ্রিল থেকে টিসিবির পণ্য বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
গত ২৩ জুন টিসিবির ডিলাররা চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে বলা হয়, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণের ক্ষেত্রে কিছু এলাকায় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা বাধা দিচ্ছেন। কোথাও অবীক্রিত পণ্য ফেরত না দিয়ে নিজেদের কাছে বিক্রির চাপ দিচ্ছেন, আবার কোথাও কার্ডধারীদের পণ্য ক্রয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে বিক্রি কমে গিয়ে ডিলাররা লোকসানে পড়েছেন।
ডিলাররা জানান, উপজেলার সব কার্ডধারীর তথ্য স্মার্ট করা হলেও ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা তা সক্রিয় করছেন না। বর্তমানে সক্রিয় কার্ড মাত্র ৯ হাজার ৮৬টি, বাকিগুলো নিষ্ক্রিয় থাকায় বিতরণ জটিলতা বাড়ছে।
জিন্নাগড় ইউনিয়নের সুবিধাভোগী পারভীন বেগম বলেন, ‘এই বছর জানুয়ারি ছাড়া আর কোনো মাসে টিসিবি পণ্য পাইনি।’
নীলকমল ইউনিয়নের নান্নু মিয়া জানান, ‘এপ্রিল থেকে কোনো পণ্য পাইনি। সচিবকে জিজ্ঞেস করলেও সঠিক তারিখ বলতে পারেননি।’
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘আমরা নিয়মিত চাল বরাদ্দ দিচ্ছি। তবে কয়েকটি ইউনিয়নে গত কয়েক মাস ধরে বিতরণ বন্ধ আছে।’
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, ‘টিসিবি বিতরণ কার্যক্রম জেলা থেকে তদারকি হয় এবং ডিলার নিয়োগও সেখান থেকে হয়। সমস্যা সমাধানে ডিলারদের জেলায় যোগাযোগ করতে হবে।’