পূজার ঘণ্টা বাজছে চারপাশে। দেখতে দেখতে কড়া নাড়ছে বিজয়া দশমীর দিন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজার সাজকে ঘিরে থাকে নানা পরিকল্পনা। বিশেষ করে দশমীর দিনে সাজ-পোশাকের আয়োজন থাকে সবচেয়ে বেশি। তবে সাজ মানেই আড়ম্বর নয়, মানানসই হওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি।
কেমন রঙের পোশাক
পূজার পোশাক মানে শুধু লাল-সাদা নয়। যদিও এই রঙের পোশাকই প্রচলিত, তবে আপনার পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী যেকোনো রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন। অফহোয়াইট, মেরুন, গেরুয়া বা কমলা, ফিরোজা, ক্রিম, টিয়া, নীল, সোনালি হলুদ কিংবা মেজেন্টার মতো রঙের পোশাকে সাজতে পারেন। নিজের গায়ের রঙ ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হলে উৎসবের আমেজ বাড়বে আরও।
চোখের সাজ
চোখ দুটি উৎসবের সাজকে পূর্ণতা দেয়। তাই চাইলে একটু জমকালো সাজাতে পারেন। তবে অনেকগুলো গাঢ় রঙ একসঙ্গে ব্যবহার করবেন না, এতে উদ্ভট লাগতে পারে। খুব ভারী সাজ না চাইলে শুধু কাজলও যথেষ্ট। তবে আইলাইনার, মাশকারা ও হালকা আইশ্যাডো ব্যবহার করলে চোখ আরও মায়াবী হয়ে উঠবে।
চুলের বাঁধন
উৎসবের দিনে চুল খোলা রাখবেন না বাঁধবেন-এটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত পছন্দ। তবে খোঁপা বা বেণি করে তাতে ফুল গুঁজে নিলে সাজে আসবে ভিন্নতা। চুল বাঁধা অনেক সময় আরামদায়কও বটে। আবার খোলা চুলে যদি নিজেকে বেশি মানায়, তাতেও সমস্যা নেই।
দিনের সাজ বনাম রাতের সাজ
দিনের সাজ সাধারণত হালকা হয়। তবে রাতের বেলা চাইলে একটু জমকালো সাজ বেছে নিতে পারেন। লিপস্টিকে দিনের বেলা হালকা রঙ, আর রাতে কিছুটা গাঢ় রঙ মানাবে। মেকআপও রাতে তুলনামূলক ভারী করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সাজ যেন কখনোই অতিরঞ্জিত বা বেমানান না দেখায়।
সারসংক্ষেপে, দুর্গাপূজার সাজ মানে নিজের স্বস্তি ও মানানসই রুচির মেলবন্ধন। পোশাক, চোখ, চুল কিংবা মেকআপ—সব মিলিয়ে আপনি হয়ে উঠতে পারেন উৎসবের ভিড়ে অনন্য ও উজ্জ্বল।