ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নীরব গাছে ঝুলে আছে জুলাইয়ের গল্প

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০১:২৬ এএম

গাছ কেবল অক্সিজেন দেয় না, দেয় না শুধু ছায়াও, কখনো কখনো তারা হয়ে ওঠে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। বাগেরহাট শহরের রাস্তার ধারে, স্কুল প্রাঙ্গণে আর নদীর পাড়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো এখন যেন শুধু সবুজের প্রতীক নয়; তারা ধারণ করছে এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের চেতনা ও স্মৃতি।

২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে জেলা ছাত্রদলের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগে এই গাছগুলোই পরিণত হয়েছে এক জীবন্ত স্মারকে। গতকাল রোববার দুপুরে শহরের নূর মসজিদ মোড় থেকে পিডব্লিউডি সড়ক, আশপাশের স্কুল ও নদীর পাড় পর্যন্ত লাগানো গাছগুলোতে ঝুলছে ‘জুলাই স্মৃতি প্রতীকী নেমপ্লেট’।

এই নেমপ্লেটে কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নেই, নেই বড় বড় কথা, তবু যেন নীরব ভাষায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে একটি অটুট অঙ্গীকার, মুক্তিযুদ্ধের মতোই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকেও স্মরণে রাখতে হবে, হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।

জেলা ছাত্রদল নেতাদের কাছে এই নেমপ্লেট শুধু ইতিহাসের স্মারক নয়, বরং প্রতিরোধ ও চেতনার প্রতীক। তাদের বিশ্বাস, প্রতিটি গাছ যত দিন টিকে থাকবে, তত দিন জুলাইয়ের স্মৃতিও অমলিন থাকবে।

জেলা ছাত্রদল নেতা শেখ আল মামুন বলেন, ‘আমরা চাই নতুন প্রজন্ম শুধু ইতিহাস জানুক তাই নয়, সেটি যেন হৃদয়ে ধারণ করে। প্রতিটি গাছ আমাদের কাছে আন্দোলনের প্রতীক। একই সঙ্গে আমরা পরিবেশেরও যতœ নিতে চাই, কারণ টিকে থাকার জন্য সবুজ রক্ষা করা জরুরি।’ তিনি আরও জানান, এই কর্মসূচি মুক্তিযুদ্ধ ও গণআন্দোলনের চেতনা লালনেরই ধারাবাহিকতা।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের নেতা শেখ আল মামুন, শামিম মুন্সি, রোহিত হালদার, ইমন শেখ, জিসান, আরিফিন অরিন, শাওনসহ আরও অনেকে। তাদের চোখে, এই গাছগুলো শুধু ছায়া দেবে না, শিখিয়ে যাবে ইতিহাস, প্রতিরোধ আর পরিবেশ ভালোবাসার গল্প। শেখ আল মামুন বলেন, ‘ছাত্রদল সব সময় মুক্তিযুদ্ধ ও গণআন্দোলনের চেতনা লালন করে এসেছে। এই নেমপ্লেটগুলো তরুণদের মনে দেশপ্রেম আর দায়িত্ববোধ জাগ্রত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’