- এ নিয়ে ২৮ বার ভাঙল ব্রিজটি
- যোগাযোগ বন্ধ, শত শত শ্রমিকবাহী বাস আটকা
- ১৫ কিলোমিটার ঘুরে চলছে বিকল্প পথে যানবাহন
- প্রশাসনের আশ্বাস, দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামে মাটিকাটা নদীর ওপর নির্মিত চৌধুরীঘাট বেইলি ব্রিজ আবারও ভেঙে পড়েছে। গত শনিবার সকালে উত্তর পাশের প্রবেশপথের একটি স্টিলের স্লিপার খুলে নদীতে পড়ে গেলে এর সঙ্গে পাটাতনও ভেঙে যায়। এতে ভোর থেকেই সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে এবং ভোগান্তিতে পড়ে হাজারো শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে ব্রিজটি ২৮তম বারের মতো ভাঙল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার গভীর রাত কিংবা শনিবার ভোরে ব্রিজের স্লিপার খুলে পড়ে যায়। এতে জৈনা বাজার থেকে কাওরাইদ পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ছোট পরিবহনগুলোকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে। শত শত শ্রমিকবাহী বাস আটকা পড়ে। অনেক যাত্রীকে ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে নদী পার হতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাতে ব্রিজের দুটি স্লিপার ভেঙে যায়। একটি নদীতে পড়ে গেছে। সকাল থেকে শত শত গাড়ি আটকে আছে।’ নিয়মিত যাত্রী আবুল হাশেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছুদিন পরপরই এই ব্রিজ ভেঙে যায়। একাধিকবার গাড়িও নদীতে পড়েছে। তারপরও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।’
স্থানীয় সিএনজিচালক আমান মিয়া বলেন, ‘সকালে যাত্রী নিয়ে এসে দেখি ব্রিজ ভাঙা। পেছনে অসংখ্য গাড়ি আটকে আছে। এখন ১৫ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে। বিকল্প সড়কের অবস্থাও খারাপ। আমরা পড়েছি মহাবিপদে।’
শ্রীপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. তাওহীদ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি মেরামত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন প্রশাসনকেও নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন ব্রিজ নির্মাণের কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাজ আটকে আছে। আশা করছি, দ্রুত জটিলতা নিরসন করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ সম্ভব হবে।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহু বছর ধরেই চৌধুরীঘাট বেইলি ব্রিজটি জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। বারবার ভাঙলেও স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ না নেওয়ায় ভোগান্তি ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজারো শ্রমিক গাজীপুর, গফরগাঁও ও ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় যাতায়াত করেন।