হিমালয় পাদদেশীয় উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষের জবুথবু অবস্থা। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্প সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পরিমাণে পৌঁছেছে। ফলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। এমন পরিস্থিতিতে চরম দূর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে-খাওয়া, দিনমজুর, শ্রমজীবী, ছিন্নমূল, নি¤œ আয়ের মানুষসহ জেলার সাড়ে চার-শতাধিক চর ও দ্বীপচরের হতদরিদ্র মানুষ। ‘কয়দিনের ঠান্ডায় হামার অবস্থা কাহিল। ঠান্ডায় শরীর কাঁপে। হাত-পাও শিক নাগছে। ঘর থাকিও বের হওয়া যায় না। কাম না করলে ছোয়া পোয়াক খাওয়াই কেমন করি?’ আজ সকাল সাতটার দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ভ্যানচালক মইনুল মিয়া এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন।
আরেক ভুক্তভোগী ধরলাপাড়ের বাসিন্দা দিনমজুর আয়নাল হক বলেন, ‘কাজে বের হইছি। ঠান্ডায় শরীর অবসের মতো হওয়ার নাগছে। পেট তো আর শীতের কষ্ট মানে না। গরিব মানুষ না খাইটলে খামো কী?’
স্থানীয় রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ। তবে তাপমাত্রা আরও নি¤œগামী হয়ে চলতি সপ্তাহে জেলাজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা ক্রমেই নি¤œগামী হচ্ছে। যা আরও নি¤œগামী হয়ে চলতি মাসের ১৫ তারিখের পর জেলাজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায় কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।’

