সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রীকে নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে প্রায় ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। বিষয়টি নজরে এলে পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগে সাড়া না পেয়ে উত্তেজিত জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘শফিকুর রহমান এর আগেও একাধিকবার অনৈতিক আচরণ করেছেন। এবার স্থানীয় জনতা তাকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে।’
জানা গেছে, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শোকজসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে জনতার মাধ্যমে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া খুবই দুঃখজনক এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন