ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

বাগেরহাটের খানজাহান আলীর মাজারে পর্যটকদের ভিড়

মেহেদী হাসান নয়ন, বাগেরহাট
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাগেরহাট: ইতিহাস আর ঐতিহ্যের ধারক বাহক পীর খানজাহান আলীর মাজার। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসলিম সম্প্রদায়সহ সকল গোত্রের মানুষের আনাগোনা এই মাজারে। নিজ নিজ ধর্মমতে আরাধনা করছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। প্রচলিত আছে রওজা শরীফের পাশেই রয়েছে জ্বিন পরীদের দিয়ে খনন করা বিশাল আকৃতির দীঘি, আর তাতেই রয়েছে সেই শতবর্ষী বয়সী কুমির। 

হযরত খানজাহান আলী (র.)১৩৬৯ সালে দিল্লীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, ভারতে জন্মগ্রহন করলেও তিনি বাংলার ইতিহাসের একটি প্রধান অংশ। এই মহান সাধক ছিলেন একাধারে সৈনিক, শাসক, ইসলাম প্রচারক এবং মানব সেবক ছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রচারে এসে বাগেরহাটে নির্মাণ করেন "ষাট গম্বুজ মসজিদসহ ৩৬০টি মসজিদ এবং ৩৬০টি দিঘী খনন করেন। এখানেই রয়েছে হযরত খানজাহান আলী (র.) মাজার শরীফ।

মাজারের প্রধান খাদেম আলহাজ্ব মো. ফকির শের আলী বলেন, বর্তমানে দেশের চলমান পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে কারণে পর্যটকদের আগ্রহ নিয়ে একটু সন্দেহ আছে। এ মাজারে কেউ আসেন মনের বাসনা পূরণ, রোগ মুক্তিসহ বিভিন্ন প্রত্যাশা নিয়ে করেন মাজার জিয়ারত। আবার কেউ কেউ দিচ্ছে মুরগী, ছাগল, কবুতর, হাঁস। এসব দিয়ে মনের বাসনা পূরনে অনেকে মাজার জিয়ারত করছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ, বাগেরহাট জোন ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এই পর্যটন-আকর্ষনী জায়গাগুলোয় প্রতিবছর ছুটে যান হাজার হাজার পর্যটক। তাদের ভ্রমণ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সদা জাগ্রত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ১৯৮৩ সালে এই শহরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়। যাতায়াতের পাশাপাশি এলাকার খাবার হোটেল গুলোতেও মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে, আবাসিক হোটেল গুলোকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে দর্শনার্থীদের। অসুস্থ দর্শনার্থীদের জন্য হাতের নাগালেই রয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। মাজার এলাকায় পসরা সাজিয়ে বসা দোকান গুলো কিছুটা হলেও চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে এই এলাকায় আসা দর্শনার্থীদের।