ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

মৌলভীবাজারে পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে উৎসবমুখর কাউন্সিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দীর্ঘদিন পর মৌলভীবাজার পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের উৎসবমুখর পরিবেশ ও উচ্ছ্বাসে কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) শহরের এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ কাউন্সিলে ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন নতুন নেতারা।

কাউন্সিলে দুপুর থেকেই কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

স্থানীয় নেতাদের মতে, তৃণমূল পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি পেয়েছে। দুই ওয়ার্ডে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর দীর্ঘ প্রস্তুতি ও প্রতীক্ষার পর দলীয় কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে শতাধিক ভোটার গোপন ব্যালটে তাদের পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নেন।

৮ নং ওয়ার্ডে সভাপতি নির্বাচিত হন মো. আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু তাহের। ৬ নং ওয়ার্ডে সভাপতি হন কাজি মনজুর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মজিদ। তবে ৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়।

কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন এবং উদ্বোধক ছিলেন সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন।

বক্তৃতায় তারা বলেন, তৃণমূলের কর্মীরাই বিএনপির প্রকৃত শক্তি।

ময়ূন বলেন, আজকের প্রাণবন্ত কাউন্সিল প্রমাণ করেছে বিএনপি এখনও ঐক্যবদ্ধ। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে এই ঐক্যই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

রিপন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি মাঠে থাকবে, আর তৃণমূলের এই নেতৃত্বই সে লড়াইকে শক্তিশালী করবে।

মৌলভীবাজারে পৌর বিএনপির এই কাউন্সিল কেবল একটি সাংগঠনিক আয়োজন নয়, বরং বিএনপির কেন্দ্রীয় পুনর্গঠনের অংশ। স্থানীয় পর্যায়ে এই ধরনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করছে।

কর্মীদের প্রত্যাশা, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ায় কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে। তারা মনে করছেন, এই ধরনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

স্থানীয় এক নেতার ভাষায়, আজ আমরা প্রমাণ করেছি, কর্মীরাই নেতা বানায়। এ শক্তি নিয়েই আমরা সামনে এগোব।

কাউন্সিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বকসি মিছবাউর রহমান মোশারফ হোসেন বাদশা, মো. ফখরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ, স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, আনিছুজ্জামান বায়েছ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক চৌধুরী মামনুনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মমসাদ আহমদ, কমিশনার ছিলেন মনোয়ার আহমেদ রহমান ও সারওয়ার মজুমদার ইমন।