ঢাকা শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫

খালেদা জিয়ার ফ্লাইটে শেখ রেহানার কেবিন ক্রু ! যা ঘটল

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে শুক্রবার মধ্যরাতে হঠাৎ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই কেবিন ক্রু হলেন, আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা এবং পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে সরকারি সুবিধা ভোগের অভিযোগে তাদের বাদ দেয়া হয়।

চার মাস পরে আগামী ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।  সেই ফ্লাইটের দায়িত্বে ছিলেন ওই  দুই কেবিন ক্রু। 

বিমান সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের ভিত্তিতে। রোববার স্থানীয় সময় (৪ মে) সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০২ ফ্লাইটটি। 

ফ্লাইটে খালেদা জিয়া, তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা থাকবেন। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার (২ মে) দুপুরে ওই ফ্লাইটে চিফ পার্সার নিশি, ফ্লাইট পার্সার আল কুবরুন নাহার কসমিক, ফ্লাইট পার্সার মো. কামরুল ইসলাম এবং জুনিয়র পার্সার রিফাজের নাম চূড়ান্ত করে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগের সংশ্লিষ্ট ইউনিট। 

তবে গোয়েন্দা তথ্যে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উঠে আসে। এ কারণে শুক্রবার মধ্যরাতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে দুজনের নাম বাতিল করা হয়। ফ্লাইটে কসমিক ও বিপোনের পরিবর্তে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট পার্সার ডিউক এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আনহারা মারজানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সূত্রমতে, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, আল কুবরুন নাহার কসমিক নিয়মিত শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন। আওয়ামী সরকারের নেতাদের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল বেশ ঘনিষ্ঠ। তাদের মাধ্যমে নিতে সরকারি নানা সুবিধ। চাকরি জীবনে তিনি ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। একাধিকবার গ্রাউন্ডেড হওয়ার শাস্তিও পেয়েছেন। 

অভিযোগ রয়েছে, জুনিয়র পার্সার কামরুল ইসলাম বিপোন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দলের নানা কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। প্রতি বছর ১৫ আগস্টে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিয়মিত ফুল দিতেন তিনি। শেখ কামালের জন্মদিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করতেন। তিনি বিমানে শেখ রাসেল দিবস পালনের অন্যতম উদ্যোক্তা।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম  বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সরানো হয়েছে বলে জেনেছি। বিমানের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নানা কারণে কাউকে ডিউটি নাও দিতে পারে কিংবা রিশিডিউলিং হতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কারণে অনেক সময় অনেককে সরানো হতে পারে; শত শতজনকে সরানো হয়। তেমন বড় কিছু না হলেও কিংবা সামান্য কিছু পেলেই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে তাদের সরিয়ে দিতে বলা হয়।