ঢাকা শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

ঈদের দাওয়াতে শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ায় জামাইকে মারধর

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা। ছবি- সংগৃহীত

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ঈদের দাওয়াতে শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ায় জামাইকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে মারধরের শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীর বোনজামাই ও মা।

বুধবার (১১ জুন) উপজেলার দক্ষিণ কাঁঠালবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কাঁঠালবিল গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলীর ছেলে সাকোয়াত হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ের প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাই সাকোয়াতকে বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত দেওয়া হয়। পূর্বের পারিবারিক বিরোধের কারণে তিনি দাওয়াতে সাড়া দেননি। এতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।

এরপর সাকোয়াতের শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন সদস্য তার বাড়িতে গিয়ে দাওয়াতে না যাওয়ার কারণ জানতে চান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সাকোয়াতের ওপর হামলা করেন। তাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করলে তার বোনজামাই এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করা হয়। সাকোয়াতের মা এগিয়ে আসলে তাকেও হেনস্তা করা হয়।

আহত সাকোয়াত হোসেন বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। আগেও তারা আমাকে অবমূল্যায়ন করেছে। তাই এবার সেখানে যাইনি। কিন্তু তারা আমার বাড়িতে এসে যা করল, তা অমানবিক। শুধু মারধরই নয়, তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেও গেছে।

এ বিষয়ে জানতে শ্বশুর আইয়ুব আলীর ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ হয়নি।

স্থানীয় হাতিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, জামাইকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরেছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।