বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মতোই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর হিসেবে পরিচিত। বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝে বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হলেও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার বায়ুমানের সূচক ৮১ রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২৩তম। এই স্কোর অনুযায়ী ঢাকার বাতাসকে ‘মাঝারি দূষিত’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
একই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার একিউআই স্কোর ৪০৬। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (স্কোর ২৪৬), তৃতীয় উজবেকিস্তানের তাশখন্দ (স্কোর ১৭৪), চতুর্থ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (স্কোর ১৫৭) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা, যার স্কোর ১৪৭।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একিউআই ২০০-এর ওপরে থাকলে শিশু, প্রবীণ ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ এবং নগর সবুজায়ন।
