ঢাকা শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

পটুয়াখালী-৩ আসন

ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনকে দেখতে চান নেতাকর্মীরা

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
হাসান মামুন। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা একক কণ্ঠে দাবি জানিয়েছেন এই আসনে দলীয় প্রতীক ধানের শীষে তারা শুধু একজনকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান তিনি হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হাসান মামুন।

বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের দুঃসময়ে হাসান মামুন আমাদের পাশে ছিল। দশমিনা গলাচিপায় তার ফসল লাগানো। তিনি সেই ফসল ভোগ করবে। হাসান মামুন এর মনোনয়ন আনার জন্য আমরা তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় গিয়ে অবস্থান নিব। হাসান মামুনের বাইরে আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দশমিনা গলাচিপায় কাউকে মেনে নিব না।

এছাড়াও তৃণমূলের ফারুক প্যাদা জানায়, হাসান মামুন একজন পরিচ্ছন্ন নেতা তিনি দুঃসময় আমাদের পাশে ছিল। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর কোন ভোট দিতে পারেনি তাই আমরা আমাদের আবেগ অনুভূতির মার্কা ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিতে চাই। আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হাসান মামুন ভাইকে দশমিনা গলাচিপায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে দেখতে চাই।

দশমিনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিলন বলেন, আমরা আব্দুল বাতেন সাহেবের হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে এসেছি। ধীরে ধীরে বাতেন সাহেবের নেতৃত্বে একটা পর্যায়ে বিএনপির উন্নয়ন লাভ করেছে। বাতেন সাহেব ইন্তেকালের পরে আলহাজ শাজাহান খান এই দলের হাল ধরেছেন। শাহজাহান খান সাহেবের পরে হাসান মামুন এর নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত হয়েছে।

বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সমাজ তার নেতৃত্বে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে। হাসান মামুন আমাদের অভিভাবক । তিনি মাঠে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। তাই পটুয়াখালী-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে তাকেই দেখতে চাই।”

দশমিনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক যোবায়ের হোসেন আক্কাস বলেন,“স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারে থাকাকালীন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে এক রাতের মধ্যে বিএনপিতে যোগ দিয়ে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে দলের দুর্দিনে গোলাম মাওলা রনিকে তৃণমূলে আর পাওয়া যায়নি। দলের দুর্দিনে হাসান মামুন ভাইকে পেয়েছি তাই হাসান মামুন ভাইয়ের বাইরে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেব না।”

গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, দলের দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রামে হাসান মামুন আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে দশমিনা গলাচিপা বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছে। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও আমরা এমপি পাইনি ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসে বরিশাল বিভাগের মধ্যে ২৩ আসনের মধ্যে ২০ টি আসন বিএনপি'র জোটের প্রার্থীরা এমপি হয়েছে।

কিন্তু তখনও আমরা এমপি পাইনি। এবার সুযোগ এসেছে এমপি পাওয়ার তাই আমরা আমাদের দুঃসময়ের কান্ডারী জনাব হাসান মামুনকে ধানের শীষ প্রতীকে এমপি বানাতে চাই। তৃণমূলের চাওয়া একটাই হাসান মামুনকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্য কাউকে দিয়ে এই আসনে জনগণের মন জয় করা সম্ভব নয়।

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হাসান মামুন সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গলাচিপা দশমিনা পটুয়াখালী বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকায় যখন যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সকল কর্মসূচিকে সক্রিয়ভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমার সামর্থের সবটুকু দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষে সংগ্রাম করেছি।

দুবার কারা নির্যাতন ভোগ করেছি এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দল যদি জনপ্রিয়তার মানদন্ডে এবং ভোটারদের মতামতের মধ্যে দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করা হয় তাহলে দল অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

তিনি আরো বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ জনগণ বিএনপির একজন সংসদ সদস্য দেখতে চায় যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দেয় এবং ওই অঞ্চলের জনগণ আমাকে মূল্যায়ন করে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমরা প্রথমবারের মতো ওই এলাকায় উন্নয়নের মাইলফলক স্থাপন করতে চাই।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তরুণ ও যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে হাসান মামুনের গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক। দলে তার সক্রিয় ভূমিকা এবং ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা বিএনপিকে এই আসনে নতুন করে শক্ত অবস্থান নিতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তারা।