বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে এখন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। গত এপ্রিল মাসে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এর ছয় মাস পর সাধারণ জনগণের জন্য এই হাসপালাত উন্মুক্ত করা হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ মানুষ ১০ টাকা টিকিটে নিতে পারবেন চিকিৎসা সেবা। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে এ উন্মুক্তকরণের উদ্বোধন করেন রেলপথ সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে রেলপথ সচিব জানান, সারা দেশে রেলের দশটি হাসপাতাল আছে। তার একটি রাজশাহীর ২০ শয্যার এই হাসপাতাল। এটি এখন রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে।
এখানে ইতোমধ্যে ৪ জন চিকিৎসক, ১ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং ১০ জন নার্স পদায়ন করা হয়েছে। ২০ শয্যার এই হাসপাতালকে আমাদের ৩১ শয্যা করার পরিকল্পনা আছে। সরকারি হাসপাতালের যে নিয়মকানুন আছে সে অনুযায়ী এই হাসপাতাল পরিচালিত হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, রেলের কাজ হলো পরিবহন করা আর আমাদের দায়িত্ব ১৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া। সেক্ষেত্রে রেলের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তারাও আমাদের সেবার আওতায়। হাসপাতালটি পরিদর্শন করে আমরা কিছু দুর্বলতা দেখেছি। আমরা যে মানের প্যাথলজি চেয়েছিলাম সেটা এখানে নেই, কক্ষ বাড়াতে হবে, অবকাঠামোগত আরও অনেক কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে অপারেশন থিয়েটারসহ সব চিকিৎসা সুবিধা আমরা দিতে চাই। ২৪ ঘণ্টা ইনডোর সেবা দেওয়া হবে। ফলে রাজশাহীবাসীর চিকিৎসাসেবা পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক অফিয়া আখতারসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


