কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের হাতে নিজের মা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের পুরুড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আশিলা বেগম (৬৭) ওই গ্রামের মৃত শামছু মিয়ার স্ত্রী। তার চার ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০) মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় ৫-৬ বছর ধরে তাকে পায়ে শিকল বেঁধে ঘরের ভেতরেই রাখা হতো।
ঘটনার রাতেও জসিমকে আগের মতো শিকল দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। রাতের খাবার শেষে আশিলা বেগম ও জসিম একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে অন্য রুমে থাকা পরিবারের এক সদস্য ঘরের দরজা খোলা দেখে ভিতরে গিয়ে দেখতে পান জসিমের পায়ের শিকল খুলে রয়েছে, কিন্তু সে ঘরে নেই। একই সঙ্গে আশিলা বেগমের দেহ নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে তাড়াইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত শ্যামল মিয়া জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জসিমউদ্দিন তার মাকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।


