ঢাকা শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫

সীমান্তে আগ্রাসী বিএসএফ, বেড়েছে বাংলাদেশিদের ওপর আক্রমণ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর বিএসএফ। ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

বাংলাদেশ সীমান্তে আগ্রাসী আচরণ শুরু  করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ফলে বাংলাদেশিদের ওপর বেড়েছে আক্রমণ ও নির্যাতনের হার।

এতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে একধরণের উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেঘালয় সীমান্তে ২৭টি যৌথ দল গঠন করে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে বাহিনীটি।

বিএসএফ মেঘালয় সীমান্ত অঞ্চলের মহাপরিদর্শক ওম প্রকাশ উপাধ্যায় ওই গণমাধ্যমে দাবি করেছে, ‘বিজিবি আমাদের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে সম্প্রতি সীমান্তে দালাল চক্রের সদস্য ও অবৈধ অনুপ্রবেশে ইচ্ছুক বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

বিএসএফ তথ্যানুযায়ী,  বাংলাদেশের শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও সিলেট জেলার সীমান্তে বিশেষ নজরদারি করছে তারা।

বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে চলমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বিএসএফের উপাধ্যায় বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দুই বাহিনীর মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রয়েছে।

যদিও বিএসএফ কর্তৃক সাধারণ বাংলাদেশিদের ধরে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে।

সীমান্তে সাধারণ বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনাও ঘটছে।

এরমধ্যে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যার দিকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। 

ওই দুই বাংলাদেশির মধ্যে একজন এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী রিমন ইসলাম। অপরজন রিমনের মামা মাজেদুল ইসলাম। 

এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সীমান্তে লোকজন জড়ো হতে থাকেন এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অন্যদিকে একইদিন দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে নিয়ে আসে স্থানীয়রা।

তবে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিকদের হস্তান্তর করেছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর পিপুলবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কৃষক আহত হন।

বিএসএফের এ ধরনের ঘটনার খবর প্রতিনিয়ত আসছে।