জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে না জুনে- এই প্রশ্ন ঘিরে দেশের রাজনীতিতে ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর থেকেই রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে।
বিএনপি ডিসেম্বরেই নির্বাচনে অনড় অবস্থানে রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাও আগের অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ওদিকে, শুধু বিএনপি নয় সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও ডিসেম্বরে নির্বাচনের পক্ষে। আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দল প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের পক্ষে।
জাপানের টোকিও’র ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরামে ‘ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা জনগণকে বলেছি, নির্বাচন এই বছরের শেষে ডিসেম্বরে অথবা সর্বোচ্চ জুনে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে বলেও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি, দেখলাম ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব জাপানে বসে বিএনপি’র বদনাম করছেন। একটু লজ্জাও লাগলো না দেশের সম্পর্কে বিদেশে বসে বদনাম করতে।
একটি দল নির্বাচন চায়। আর আমরা বলতে চাই, একটি লোক নির্বাচন চায় না, সে হলো ড. ইউনূস উনি নির্বাচন চায় না। বিএনপি বরাবরই নির্বাচন চেয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে এবং এই ডিসেম্বরের কথা কিন্তু ইউনূস সাহেব স্বয়ং বলেছেন। আমরা বলি নাই, তারই এই প্রস্তাব। পরবর্তীতে তিনি শিফট করে চলে গেলেন জুন মাসে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, একটি মাত্র দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হয়, তাহলে নাকি খুব তাড়াহুড়ো করে সংস্কার করতে হবে। কিন্তু আমাদের কথা হলো আপনার উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার করুন। আপনার উপদেষ্টা পরিষদ নিরপেক্ষ নয়, এখানে দু’জন ছাত্র উপদেষ্টা বসে আছেন, তারা একটি দলের।
আরেকজন উপদেষ্টার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আরও কয়েকজন ফ্যাসিবাদের দোসর আপনার উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে আছে। সংস্কার করুন, নাম বলতে চাই না বিব্রত হবেন। সরিষার মধ্যে ভূত রেখে আপনি সংস্কার সংস্কার করেন, সংস্কার হবে না।