ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫

দুর্নীতি বন্ধ হলে দেশ স্বনির্ভর হতে সময় লাগবে না: রেজাউল করিম

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশে গত ৫৪ বছরে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তা যদি বন্ধ করা যেত, তাহলে দেশ অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা বা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত ও সমৃদ্ধ হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর তুরাগে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত তুরাগ মধ্য থানার আয়োজিত ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। এই সম্মেলন আগামী ১৯ জুলাই ঘোষিত জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আল্লাহর আইন, সৎ লোকের শাসন এবং সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে শতভাগ দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং শতভাগ কর্মসংস্থান সম্ভব। কিন্তু মানবসৃষ্ট মতবাদের মাধ্যমে গণমানুষের অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে আত্মনির্ভরশীল ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা এবং সৎ লোকদের শাসন নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য তিনি সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন চায়। তাই জনমানুষের এই প্রত্যাশাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ সফল করতে হবে। প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায় এবং ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের ঘোষিত ৭ দফা দাবি জনমানুষের দাবিতে পরিণত করতে হবে।’

ড. রেজাউল করিম সাত দফা দাবির বাস্তবায়নে সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন থানা আমির গাজী মনির হোসাইন। সম্মেলন যৌথভাবে পরিচালনা করেন নায়েবে আমির কামরুল হাসান এবং থানা সেক্রেটারি মুহিবুল্লাহ বাচ্চু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক এবং সাইদুর রহমান মোল্লা।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সুরুজ্জামান, জুলফিকার আলী, মুজিবুর রহমান, মাওলানা ওয়ারেস আলী মুরাদ, আবু তাহের মিয়াজী, ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসাইন, সাখাওয়াত হোসাইন ও জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে জুলাই বিপ্লবের শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।