ঢাকা শুক্রবার, ০৮ আগস্ট, ২০২৫

যে কারণে জুমার খুতবা চলাকালে কথা বলা নিষেধ 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৫:০৮ এএম
ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র জুমার দিন মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। জুমার নামাজের অন্যতম শর্ত হলো এর খুতবা, যা ছাড়া নামাজ আদায় হয় না। 

তবে অনেক সময় দেখা যায়, খুতবা চলাকালীন মুসল্লিরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। এই বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

খুতবা শোনার গুরুত্ব

ইসলামী পণ্ডিতরা বলেছেন, খুতবা চলাকালে নীরবতা পালন করা এবং মনোযোগ দিয়ে ইমামের কথা শোনা ওয়াজিব (অবশ্য পালনীয়)। এ সময় কোনো ধরনের কথাবার্তা বলা হারাম (নিষিদ্ধ)। 

হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে 'চুপ করো' বলো, সেটাও অনর্থক।" (বুখারি, হাদিস: ৮৯২)।

খুতবার সময় যেসব কাজ নিষিদ্ধ 

কথা বলা: খুতবার সময় কথা বলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি অন্যকে চুপ করতে বলাও নিরর্থক কাজ হিসেবে গণ্য হয়।

নামাজ আদায়: ইমাম খুতবার জন্য মিম্বরে আসার পর সুন্নত বা নফল নামাজ আদায় করাও জায়েজ নয়।

অন্যান্য কাজ: ফিকাহ শাস্ত্রের গ্রন্থ 'ফাতাওয়ায়ে শামি' অনুযায়ী, নামাজের মধ্যে যেসব কাজ হারাম (যেমন: পানাহার করা, অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া করা), খুতবা চলাকালীন সময়েও সেগুলো হারাম।

প্রচলিত কিছু ভুল: অনেক মসজিদে খুতবা চলাকালে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাজ হতে দেখা যায়। এর মধ্যে একটি হলো চাঁদার বাক্স চালানো। এটিও শরিয়তের দৃষ্টিতে অশোভনীয় ও নাজায়েজ। 

খুতবা শোনার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সময় মনোযোগ নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়।

খুতবার সময় সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে। এতে জুমার নামাজের পূর্ণ সওয়াব লাভ করা সম্ভব হবে।