ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

দাম কমেছে ডিম-মুরগির, চড়েই আছে সবজির বাজার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। ছবি- সংগৃহীত

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেড়েছে সবজির দাম। বিশেষ করে শাকসবজি ও পচনশীল পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে ডিম ও মুরগির বাজারে ক্রেতারা পেয়েছেন স্বস্তি।

শুক্রবার (২০ জুন) যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, দোলাইরপাড়সহ রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

লাউ, কুমড়া, করলা, পটল, ঢেঁড়স, বরবটি, শসা, বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজির কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে মাঠ থেকে সবজি তুলতে দেরি হচ্ছে, শহরে পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে, ফলে সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বাড়ছে।

এদিকে ডিম ও মুরগির বাজারে রয়েছে স্থিতিশীলতা। প্রতি ডজন ডিম ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগের তুলনায় কম। কক মুরগি (সোনালি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা আগের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কম।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। যেমন-ঝিঙা, বরবটি, ঢেঁড়শ, কাঁকরোল, করলা, বেগুন। পেঁপে, পটল, চিচিঙা, ধুন্দল, লতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। লাউ ও জালি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

শসা (দেশি) ৫০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০-৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা ও টমেটো ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।

মাছের বাজারেও রয়েছে স্থিতিশীলতা। রুই বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৪০০ টাকা, কাতল ৩০০-৩৪০ টাকা, পাবদা ২৫০-৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ৩০০-৪৫০ টাকা, কৈ ২০০-২২০ টাকা এবং তেলাপিয়া-পাঙ্গাস ১৮০-২০০ টাকায়। দেশি জাতের শিং ও কৈ বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ১২০০ এবং ১০০০ টাকায়।

মুরগি কিনতে আসা ক্রেতা মামুন বলেন, অনেক দিন ধরে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। এখন ১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। জানি না আবার কখন বাড়বে। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে না পারলে সাধারণ মানুষের রক্ষা নেই।

সবজি বিক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, সবজির দাম কমই ছিল। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মাল কম এসেছে, তাই দাম একটু বেড়েছে। আমরাও বেশি দামে সবজি কিনে এনেছি।

বিক্রেতাদের মতে, বৃষ্টি থামলে এক-দুই দিনের মধ্যেই সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এবং দামও কমে আসবে। এই অস্থায়ী মূল্যবৃদ্ধি মৌসুমি ব্যাপার বলে তারা মন্তব্য করেন।